বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ভর্তুকিমুক্ত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে।
এ পটভূমিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম সমন্বয় করার পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ নতুন করে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের ও গ্যাসের দাম। শ্রেণিভেদে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিট (কিলোওয়াট) প্রতি ৩০ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া বাণিজ্য ও শিল্পসহ অন্য শ্রেণিতেও বাড়বে এ সেবাপণ্যটির দাম। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। নতুন মূল্যহার ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা দাম বৃদ্ধি নয়, সমন্বয় করা হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে এবং জ্বালানি দাম যেহেতু ডলারে পরিশোধ করতে হয়, তাই মূল্য সমন্বয় করতে হচ্ছে। এছাড়া সরকার পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেয়া ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে দেশেও ওঠা-নামা করবে জ্বালানি তেলের দাম।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, দেশের বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে অনেকখানি। এই কারণে এখন আমরাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা দাম বাড়ানো নয়, ডলার দামের কারণে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সে জায়গাটা সমন্বয় করা হচ্ছে।
মার্চে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমরা আবাসিকের লাইফ লাইন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ৩০ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের উপরে গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা বাড়বে।
এছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্যাপটিভ পাওয়ারে যে গ্যাস দেয়া হচ্ছে সেখানেও দাম বাড়বে ইউনিট (এক হাজার ঘনফুট) প্রতি ৭০ পয়সা। তিনি বলেন, তেল আনবো, এলএনজি আনবো। কিন্তু ডলার নেই। কয়লার বিল দেয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ভর্তুকিমুক্ত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে।
এ পটভূমিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম সমন্বয় করার পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলায় আরো ৯টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে – প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
আরও সংবাদ পড়ুন।
মুজিববর্ষে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আরও সংবাদ পড়ুন।
জনগণ বিদ্যুৎ পাবে, তবে ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা