দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনার ৪৩টি উপকূলীয় ইউনিয়নে কোস্ট গার্ড মোতায়েন হচ্ছে।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৩) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামছেন সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্যরা। তারা নির্বাচনি মাঠে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করবেন।
ভোটগ্রহণের দুইদিন পর অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। এদিকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি নির্বাচনি দায়িত্বে থাকবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নির্বাচনে ১১৬২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন দেখভালে রয়েছেন ৭৫৪ জন। আজ থেকে যে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মাঠে নামছেন তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশে কাজ করবেন। নির্বাচনে ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনার ৪৩টি উপকূলীয় ইউনিয়নে কোস্ট গার্ড মোতায়েন হচ্ছে।
আগের নির্বাচনের মতো এবারও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নামানো হচ্ছে। তারা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করবেন সেনা সদস্যরা।
রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী সেনা সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্রে জানিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, এবারই সবচেয়ে কমসংখ্যক দেশীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ ও ভোটার বেড়েছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকসংখ্যা কমেছে। বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় পর্যবেক্ষকসংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করছে ঐ সূত্র।
ইসি জানিয়েছে, এবার নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষণসংস্থার ৫১৭ জন ও স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণসংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। সব মিলিয়ে পর্যবেক্ষকসংখ্যা ২০ হাজার ৭৭৩ জন। আসনভিত্তিক পর্যবেক্ষকের তালিকা সব রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র আনুমানিক ৪২ হাজার ২৫০টি আর ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ।
এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৩৪ হাজার ৬৭১ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক আবেদন করেন।
ঐ নির্বাচনে ৮১টি পর্যবেক্ষকসংস্থার ২৫ হাজার ৯২০ জনকে অনুমতি দেয় তত্কালীন নির্বাচন কমিশন। ২০১৪ সালে ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। বাকি ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হন। ঐ ১৪৭টি আসনে ৮ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ছিলেন। আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার এবং ২০০১ সালে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক ছিলেন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোটকেন্দ্র কারচুপি, অনিয়ম ও পেশি শক্তিমুক্ত রাখার নির্দেশ – সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
আরও সংবাদ পড়ুন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে সম্মতি রাষ্ট্রপতি’র
আরও সংবাদ পড়ুন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী কি কি দায়িত্ব পালন করবে – জানালো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়