দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর২০২৩) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্তকরণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। শুধু প্রাণিসম্পদ খাতই নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তাঁর বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা হীন বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের দেশ হয়ে যেতে পারে। শেখ হাসিনা না থাকলে আবার জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। শেখ হাসিনা না থাকলে উন্নয়নের চাকা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। উন্নয়ন চাইলে, অগ্রগতি চাইলে, দুর্নীতিমুক্ত অবস্থা চাইলে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনাকে বারবার দরকার। উন্নয়ন-শান্তি চাইলে শেখ হাসিনা আর দুর্নীতি-অশান্তি চাইলে বিএনপি- জামায়াত।
তিনি আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সারাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে চায়। শেখ হাসিনা না থাকলে এ খাতের বিকাশ হতো না। তিনি না থাকলে তৃণমূল মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য আয়ের উৎস হিসেবে গরু,ছাগল, ভেড়া বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব হতো না।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকারে সময়ে বিগত ১২ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণের অধিক, মাংসের উৎপাদন প্রায় ৬ গুণ এবং ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের হারও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কোরবানির সময় প্রতিবেশী দেশ থেকে গবাদিপশু আনার প্রয়োজন হয় না। দেশে উৎপাদিত প্রাণী দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত থাকে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন আমাদের থেকে মাংস নিতে চায়। তারা রোগমুক্ত ও নিরাপদ মাংস চায়। দেশের প্রাণিসম্পদ তথা গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি যাতে রোগাক্রান্ত না থাকে সেজন্য সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের মাংসের চাহিদা মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহসহ বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে। দেশে পিপিআর রোগের উপস্থিতি থাকায় বিদেশে মাংস রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ রোগটি নির্মূল করতে পারলে মাংস রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) হতে আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এ ধারাবাহিকতায় আগামী বছর একইভাবে সারাদেশে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল করা আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা হতে এ রোগ নির্মূলের সনদ পাওয়া যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন এবং পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
আরও সংবাদ পড়ুন।