অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান এর বিষয়ে রায় কি!

Picsart_23-07-03_22-57-08-127.jpg

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান এর বিষয়ে রায় কি

আদালত প্রতিবেদকঃ জামিনে থাকা ছিনতাই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে জড়িত শরীয়তপুরের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

তবে এ ব্যাখ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, সাময়িক বরখাস্তই শেষ কথা হতে পারে না। তারা যা করছে তাতে সাময়িক বরখাস্ত যথেষ্ট নয়।

হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর কিভাবে রিমান্ড চাইতে পারে! তাদের তো চাকরিই থাকার কথা না।

পুলিশের মহাপরিদর্শক ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারের লিখিত ব্যাখ্যা উপস্থাপনের পর এসব কথা বলেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে শরীয়তপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সালেহুজ্জামানের পক্ষে দাঁড়ান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলমের ব্যাখ্যা আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আর শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

শুনানির পর আদালত শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে, তদন্ত হবে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদালতকে এ বিষয়টি হলফনামা করে জানিয়েছি।’

শরীয়তপুরের মুখ্য মহানগর হাকিমের ব্যাখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘উনার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল স্যার দাঁড়িয়ে বলেছেন, সেদিন রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ মুখ্য মহানগর হাকিম দেননি।

দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিম। তখন আদালত সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিমকে ডেকেছেন। আগামী ৬ আগস্ট তাকে আসতে বলা হয়েছে।’

দুই পুলিশ কর্মকর্তার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসামিরা যে জামিনে আছেন, সে তথ্য এই পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ছিল না। আর আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ ছিল না।’

জামিনে থাকা ছিনতাই মামলার আসামিদের আটক, নির্যাতনের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়ার অভিযোগের ব্যাখ্যা জানতে গত ১৩ জুন হাইকোর্ট তাদের তলব করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চেয়ে এক আসামির আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর এ আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশ যখন মাদক ব্যবসায়ী – মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের নিয়োগ বাণিজ্য – মাদারীপুরে সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির বরখাস্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top