সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে গ্রেফতার করলে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে
বিশেষ প্রতিবেদকঃ সশস্ত্র বাহিনীর কোনও সদস্যকে যেকোনও অপরাধে আটক বা গ্রেফতার করা হলে তাৎক্ষণিক ভাবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (হেডকোয়ার্টার্স ও কনফিডিন্সিয়ালের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিয়া মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিষয়টি পুলিশের সব ইউনিটকে অবহিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সশস্ত্র বাহিনী থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতার পর থেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাহিনীগুলোর যেকোনও প্রয়োজনে একে অপরকে সর্বদা সাহয্য-সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে আন্তঃবাহিনী সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সত্ত্বেও কোনও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে, যা বাহিনীগুলোর সদস্যদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও প্রচলিত আইন ও বিধির আলোকে সমাধান করা সম্ভব।
সশস্ত্র বাহিনী থেকে পাঠানো চিঠিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা-৫৪৯; পিআরবি-৩১৯, ৪৩৮ ও পরিশিষ্ট-২৭; আর্মি অ্যাক্ট সেকশন ৫৯(২); পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ২০১৯ সালের তিনটি পৃথক চিঠির স্মারক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির স্মারক উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোনও সেনাসদস্যকে গ্রেফতার করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ সামরিক কর্তৃপক্ষকে (আটক সদস্যের ইউনিট অথবা নিকটতম মিলিটারি পুলিশ) অবহিত করার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নৌবাহিনীর নতুন প্রধান হলেন
কিন্তু গত ৩ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত বার্ষিক ছুটিতে থাকা মিজানুর রহমান (ইস্ট বেঙ্গল, নম্বর ৪০৫৭৫৫৫) তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ দক্ষিণপাড়ায় অবস্থান করছিলেন। ১৭ এপ্রিল ১০টার দিকে সাঁথিয়া বাজার থেকে সাঁথিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই সৈনিকের স্ত্রী বিষয়টি ইউনিট কর্তৃপক্ষকে জানান।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ওই সৈনিকের ইউনিট বা মিলিটারি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়নি। ফলে নানা ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তাই কোনও সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে আগের নির্দেশনা যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বিরাজমান রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর কোনও রেগুলার সদস্যকে কোনও ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার বা আটক করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। এমনকি মামলার তদন্তেও কোনও বাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে চিঠি দিয়ে তা জানানো হয়। এতে আন্তঃবাহিনী ভুল-বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ থাকে না।
তিনি আরও জানান, জেলা পর্যায়ে কখনও কখনও এ রকম ঘটনা ঘটে বলে নতুন করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের কোনও ধরনের ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।