ভোলায় দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
জেলা প্রতিনিধিঃ ইলিশের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস এবারও ভোলার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাসহ উপকূলের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ৩৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভয়স্থলে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাত থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। মাছ ধরা বন্ধ রাখতে আশপাশের এলাকায়ও মাছ বিক্রি, পরিবহণ ও সংরক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সোমবার ইলিশ সম্পদ রক্ষা টাস্ক ফোর্স কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ। এ সময় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রচারণা চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।
তবে দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময়ে প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। ইতোমধ্যে চালের বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছে দেয়া হয়েছে বলেও জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা।
নিষিদ্ধ এ সময়ে ভোলার ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভয়স্থলে যেন কোনো জেলে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য জেলার ১২৪টি মাছঘাটের পাশে ৪০ হাজার নৌকা ও ট্রলার আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার তথ্যমতে, জেলার ১২৪টি মাছঘাটে কমপক্ষে ৪০ হাজার ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলার রয়েছে যারা সরাসরি মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরে থাকে। এ ছাড়া জেলায় ১০ হাজার ৫৯৩টি সমুদ্রগামী ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলার দুই মাসের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকলেও সাগরে মাছ ধরতে যেতে হলে জেলা মৎস্য অফিসের অনুমতি প্রয়োজন হবে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর মোহনার অভয়স্থলে দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখলে এ অঞ্চলে ইলিশ উৎপাদন বেড়ে যাবে। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ড. নাহিদ রশীদ
আরও সংবাদ পড়ুন।
গত একযুগে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
আরও সংবাদ পড়ুন।
জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী’র