নৈতিক বিবেচনায় ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালাম – আহাদ চৌধুরী তুহিন
ভোলায় আমার সতীর্থ প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আসসালামু আলাইকুম । আপনাদের অনুরোধে ও সমর্থনে আমি ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলাম। মনোনয়ন পত্র ক্রয়ের পর দেখলাম ভোটার তালিকায় দু’জন সরকারি চাকুরীজীবী ও কয়েকজন অসাংবাদিকের নাম অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে ভোলায় সফলতার সাথে কাজ করা অনেক সাংবাদিকের নাম ভোটার তালিকায় নেই। তারপর ও ভেবেছিলাম নির্বাচিত হলে ভোলা প্রেসক্লাবকে প্রকৃত সাংবাদিকদের সংগঠনে পরিনত করব। কিন্তু এরি মধ্যে সাংবাদিকদের একটি অংশ প্রেসক্লাবের নতুনএকটি কমিটি ঘোষনা করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ ক্লাব একটি আর কমিটি দুই টি। যা হাস্যকর এবং সকল সাংবাদিকদের জন্য লজ্জাকর ও বিব্রতকর।
বর্তমানে দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্যবাহী ভোলা প্রেসক্লাব তার ঐতিহ্য হারিয়ে খাদের কিনারায় এসে দাড়িয়েছে। প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গ্রুপিং এখন দ্বন্দ্ব সংঘাতে রূপ নিয়েছে। হাতে গোন ২/৩ জন ব্যাক্তির সীমাহীন লোভ এবং নির্লজ্জতা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে আলো ছড়াতে বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে যে প্রেসক্লাব সে আজ নিজেই ঘোর অন্ধকারে। এ অবস্থার অবসান কল্পে প্রকৃত সাংবাদিকদের সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের অনুরোধে এ বছরের নির্বাচনে আমি সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলাম। যে কমিটির নয়টি পদে ইতোমধ্যে সভাপতি হাবিবুর রহমান সহ ৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। শুধুমাত্র সহ-সভাপতি এবং সম্পাদক পদে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে একই সংগঠনের আরো একটি কমিটি ( অনু – মিঠু) ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভোলা প্রেসক্লাবে সদস্যদের কাছে ও সুধী সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন হচ্ছে না।
দুই বছরের মেয়াদ শেষ হলেই নির্বাচনের নামে প্রহসন করে সুকৌশলে কমিটির মেয়াদ নবায়ন করা হয় মাত্র! এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়, আমি অনাকাঙ্খিতভাবে প্রার্থী হওয়ায় তাদের সেই প্রক্রিয়াটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। একটি ক্লাবের দুটি কমিটি হওয়ায় নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সংঘাত ক্লাবের চার দেয়াল ছাপিয়ে রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়েছে। যা খুবই লজ্জাস্কর। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ২৬ শে ডিসেম্বর বৈশাখী টেলিভিশনের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান পন্ড হয়েছে। সেদিন একটি পক্ষ ক্লাবের তালা মেরে রাখায় ভোলার সিনিয়র জুনিয়র সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে প্রবেশ করতে পারেনি। যে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ অধিকার নেই এই ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন মানে হয় না।
তাই ভোলার সকল সাংবাদিকেদের অংশগ্রহনে ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাবে স্বচ্ছ নতুন নির্বাচনের দাবীতে ৩১ ডিসেম্ভর অনষ্ঠিতব্য নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম। আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। সকলের ভালবাসা ও দোয়া প্রার্থী।
আহাদ চৌধুরী তুহিন,জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক ইত্তেফাক,এটিএন বাংলা,Dhaka Tribune,ভোলা।