ভোলা – বরিশাল থেকে নেতা-কর্মীদের ঢল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
নগর প্রতিবেদকঃ দ্বীপজেলা ভোলা সহ বরিশালের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা থেকে যুবলীগের মহাসমাবেশে আসছে নেতাকর্মীরা। তারা লঞ্চে করেই সকালে এসে সদরঘাটে নেমেছেন।
আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর২০২২) দুপুর আড়াইটায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ ভোর থেকেই উদ্যান এলাকায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে ছোট ছোট মিছিল বের করেছেন। ঢাকার বাইরের নানা জেলা-উপজেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকায় ঢুকছেন নেতা-কর্মীরা। এছাড়া রাতেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বাস রাখা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, মহসীন হলের মাঠে।
সকাল থেকেই রিজার্ভ বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যোগ দিচ্ছেন তারা। অনেকেই পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
শহবাগ মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে দেখা গেছে এসব মিছিল। মিছিল নিয়ে আসা নেতা-কর্মীরা প্রথমে মৎস্যভবন এলাকায় জড়ো হচ্ছেন। তারপর সেখান থেকে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
রাজধানীর মৎস্যভবনের দিক থেকে আসা একটি বড় মিছিল সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। তাদের পরনে ছিল লাল রঙের টি-শার্ট। হাতে ছিল যুবলীগের পতাকা। যুব সমাবেশ সফল হোকসহ নানা স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। উদ্যানে লেকের পূর্বপ্রান্তে মঞ্চ এবং দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য রূপে।
যুবলীগের এই যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্য দিয়ে যুব সমাজের সংগ্রামী চেতনার ধারা আরও শানিত ও বেগবান হবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব মহাসমাবেশে সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেবেন। সেই বার্তা শোনার জন্যই মানুষের ঢল নামবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এটি হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় যুব মহাসমাবেশ।
এদিকে, ভোলা জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে যুবলীগের সম্মেলনে যোগ দিতে হাজার হাজার নেতা ও কর্মীরা রাজধানীতে এসেছেন।