জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় জমি দখলের অভিযোগ বেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে
অপরাধ প্রতিবেদকঃ জয়পুরহাট জেলার পাঁচ বিবি পৌরসভার অধীন নাকুরগাছি (ফেনতারা) মৌজায় জমিতে লাগানো গাছ কেটে নেয়া ও জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে প্রকাশ জয়পুরহাট জেলার পাঁচ বিবি পৌরসভার অধীন নাকুরগাছি (ফেনতারা) মৌজায় পিতা আবু বকর সিদ্দিক এবং ছেল মোঃ রাজু বিল্লাহ মিলে ৯,১২ ও ১৩ দাগের জমিতে পৈতৃক সূত্রে ও ক্রয় সুত্রে বহুকাল যাবৎ চাষাবাদ করে আসছিল।
জমিটি একই থানার দমদমা পশ্চিম পাড়া মহল্লার জনৈক ব্যবসায়ী মোঃ আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরীর গোডাউ ও মুরগির ফার্ম সংলগ্ন হওয়ায় সেই জমির উপর কুনজর পরে।
জমির মালিক মোঃ রাজু বিল্লাহ চাকরি সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করায় এবং পিতা আবু বকর সিদ্দিক অসুস্থ থাকার সুযোগে কুচক্রী আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরী জমি দখলের উদ্দেশ্যে মাটি ফেলতে শুরু করে।
খবর পেয়ে ভূক্ত ভূগী মোঃ রাজু বিল্লাহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌর কাউন্সিলর কে অবহিত করলে কাউন্সিলর বেলাল চৌধুরীকে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি ফেলতে থাকায় গত এক বছর আগে ভূক্ত ভুগী মোঃ রাজু বিল্লাহ ও পিতা আবু বকর সিদ্দিক মিলে ৯০০ফিট কাঁটা তারের বেড়া ১২০টি সিমেন্ট এর পিলার ২০০ টির অধিক বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে দিয়ে ৩০০ টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে পরিচর্যা করে আসছিল।
গাছ গুলো বড় হতে থাকায় জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে ভূমি দস্যু আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরী গত ১২ জুন ২০২২ তারিখ মধ্যরাত্রে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা গাছ সহ কাঁটা তারের বেড়া খুঁটি সব কিছু কেটে নিয়ে যায় এবং এলাকায় ছড়াতে থাকে জমি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি তাই গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে ট্রলিসহ রেজিঃ বিহীন তিনটি ট্রাক্টর রেখেছে। গত ১৩/০৬/২০২২ তারিখে ভূক্ত ভূগী আবু বকর সিদ্দিক পাঁচ বিবি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ভূমিদস্যু আনিসুল ইসলাম ওরফে বেলাল চৌধুরী ১৩/০৬/২০২২ তারিখে জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবরণে দেখা যায় বাদী আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরীকে ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৩ দাগের ৫৩ শতাংশ জমি ভুক্ত ভূগী আবু বকর সিদ্দিক এর মা আলেমন বেওয়া মৌখিক ভাবে দান করেছেন।
অথচ আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরী আলেমন বেওয়ার পরিবারের কেউ নন। জমির দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলেমন বেওয়া তার সম্পত্তির সকল অংশ মৃত্যুর পূর্বে ১৯৯২ সালের জুন মাসে রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে তার চার ছেলে ও এক মেয়েকে অসিয়ত নামা দলিল করে দিয়ে যান।
নালিশী জমির বিষয়ে একই জমি কিনেছেন আবার সেই জমি আলেমন বেওয়া দান করেছেন মুঠো ফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনিসুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বেলাল চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্ত ভূগী মোঃ রাজু বিল্লাহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণের নিকট বিচার ও শাস্তি দাবি করেন যাতে এই ধরণের নেক্কার জনক কাজ করার সাহস দেখাতে কেউ না পারে।