পুলিশের এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত চলছে

Picsart_22-03-23_10-18-19-277.jpg

পুলিশের এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে
একাধিক তদন্ত চলছে

অপরাধ প্রতিবেদকঃ ‘স্ত্রীকে নির্যাতন’, ‘সন্তানকে হত্যাচেষ্টা’, ‘পিতৃত্ব অস্বীকার করা’ ও ‘সন্তানের ভরণপোষণ না দেওয়া’সহ বিভিন্ন অভিযোগে তদন্ত চলছে পুলিশের এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সেই কমিটির তদন্তকারী কর্মকর্তা যুগ্ম-সচিব (পুলিশ-১) মো. আবুল ফজল মীরের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন অভিযুক্ত এআইজি মহিউদ্দিন ফারুকী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে গত ১৬ মার্চ জারি করা এক অফিস আদেশে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অভিযুক্ত মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আয়েশা ইসলাম মৌ-এর দায়ের করা একটি মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আয়েশা ইসলাম মৌ তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ সফরে তদন্ত প্রভাবিত হবে বলে জানিয়েছেন। সোমবার (২১ মার্চ) রাতে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে তার এই শঙ্কার কথা বলেন।

ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফজলুর ইসলাম মোবাইল সার্ভিলেন্স টাওয়ার সংক্রান্ত ফ্যাক্টরি একসেপ্টেন্স টেস্টে অংশ নিতে ২১ মার্চ থেকে পাঁচ দিনের জন্য যেকোনও দিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঘটনাটি তদন্ত করছেন যুগ্ম-সচিব আবুল ফজল মীর।

আয়েশা ইসলাম মৌ-এর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কিনা এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আবুল ফজল মীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পারিবারিক আদালত এবং সিএমএম কোর্টে দুটি মামলা দায়ের করেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এসপি পদমর্যাদার) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী স্ত্রী আয়েশা ইসলাম মৌ। স্ত্রীকে নির্যাতন, সন্তানকে হত্যাচেষ্টা, সন্তানকে স্বীকার না করা ও সন্তানকে ভরণপোষণ না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয় ফারুকীর বিরুদ্ধে। সিএমএম কোর্টের বিচারক রাজেশ চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্ত করে ৮ মে আদালতে প্রতিবেদন দায়েরের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গত সোমবার (২১ মার্চ) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আদালত থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করবেন রমনা গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার আজিমুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top