জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম,ডিজিএম সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাগর চৌধুরীঃ অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক লি:, প্রধান কার্যালয়ের শর্তাদি লঙ্ঘন করে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রাহক কর্তৃক রপ্তানি না করেও ভুয়া ডকুমেন্ট দেখিয়ে জনতা ব্যাংক লি. থেকে টাকা উত্তোলন করে এবং রপ্তানি ঋণ সুবিধা গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করা অর্থাৎ ভুয়া রপ্তানি বিলের বিপরীতে মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডকে প্রদত্ত ৪৫৪,১০,৮৭,৩৮৪/- টাকা জনতা ব্যাংক লি. থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ আয় অর্জন করে তা স্থানান্তর/রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশে অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন বা পাচারের ছদ্মাবরনে আত্মসাৎ করার অভিযোগে চকবাজার মডেল (ডিএমপি) থানার মামলা নং-১৭ তারিখ: ১০/০২/১৯ খ্রি. রুজু করা হয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম.এ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস সুলতানা বেগম এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মোঃ রেজাউল করিম ও ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল সহ মোট ১৬ জন কর্তৃক ৫২১,৭০,৫১,৬৩৪/- টাকা জনতা ব্যাংক লি. থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন (সাক্ষ্য স্মারক) দাখিল করেছেন।
তৎপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে কমিশন কর্তৃক মামলায় চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাব অনুমোদন প্রদান করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তার মোঃ গুলশান আনোয়ার প্রধান, উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
নথি নং (মামলা নং, তারিখ ও ধারা): ০০.০১.০০০০.৫০২.০২.০০৮.১৯ (চকবাজার মডেল (ডিএমপি) থানা মামলা নং-১৭ তারিখ: ১০/০২/১৯ খ্রি., ধারা: দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা)।