বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বরইবুনিয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি প্রনয় কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলরাম মন্ডল, গনপূর্ত অধিদপ্তর, পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম, নাজিরপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন, পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান ফুলু, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে, আমাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া স্বাধীনতা সম্পূর্ণ হতো না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ অসম্পূর্ণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে লাল-সবুজের পতাকা কল্পনা করা যায় না, অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ কখনো কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম এটা কখনো কল্পনা করা যায় না। সেজন্য দল-মতের পার্থক্য থাকলেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখতে হবে”।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পেত না। বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে পৃথিবীর যে রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সে স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতো। বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করছেন সেটা সম্ভব হতো না”।
“আজকের বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা নেই। আজকের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ের বাংলাদেশ। আজকে বাংলাদেশে একজন মানুষও না খেয়ে থাকে না। আজকের বাংলাদেশের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে”-যোগ করেন মন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর বিশ্বাস ও আদর্শ আমাদের মাঝে রয়েছে। তাঁর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে রয়েছেন। শেখ হাসিনার মাঝেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাই। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় আজকের বাংলাদেশে এত সমৃদ্ধির চিত্র”।
এর আগে মন্ত্রী নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্রের তিন তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এলাকাবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন। পরে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দুস্থ মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ, মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুমে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে জেলেদের মাঝে প্রণোদনার গরুর বাছুর বিতরণ ও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে ট্রলার বিতরণ এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আওতায় প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে হুইল চেয়ার ও অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন মন্ত্রী।