আজ রবিবার থেকে সকল আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলবে
বিশেষ প্রতিবেদকঃ দুই মাসেরও বেশি সময় পরে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
তবে দেশের কোথাও স্থানীয় প্রশাসনের বিধি-নিষেধ জারি থাকলে সেখানে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধস্তন সকল দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে আজ রবিবার (২০ জুন) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক দেশের কোনও জেলা সদর বা মহানগরে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোডিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি বা চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি করা হলে সংশ্লিষ্ট জেলার বা মহানগরের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।
‘দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই। আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত) সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক বা আপিল বা রিভিশন কিংবা রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত) জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।‘
বলা হয়েছে, ‘অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্তে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’