ফরিদপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা, ইউএনও’র বাসভবন ভাঙচুর
জেলা প্রতিবেদকঃ চলমান লকডাউনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় তারা তারা ইউএনও’র বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্যার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্যা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে আসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।
জাকির হোসেনের অভিযোগ, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি আহত হন। পরে আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের জানা যায়, খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী জড়ো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরেও হামলা চালায়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। পরে সেখান থেকে তারা চলে গেলে দোকানদার- এলাকাবাসী থানা ও উপজেলায় হামলা করে। তারা থানা ও উপজেলা গেটে আগুন লাগিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ইউএনও’র বাসভবন, হলরুমেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
সালথা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসআই মহিউদ্দিন জানান, হামলাকারীরা থানার গেট ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে ও থানার ভেতরে ইট-পাটকেল মেরেছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের গেটও ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, সহকারী কমিশনারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।