২৫ মার্চের কালোরাত ছিল জঘন্যতম হত্যাকান্ডের সূচনামাত্র- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা মুরাদ হাসান
সাগর চৌধুরীঃ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, ২৫শে মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না। এটা ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনামাত্র।
অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকার ভাষ্য মতে, শুধু ২৫শে মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। পরবর্তী ৯ মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল সেই ঘৃণ্য ইতিহাসকে।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশে শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। নয় মাস সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
তরুণ প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখন সমানভাবে সক্রিয়। এদের পরাজিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
ডিএফপির মহাপরিচালক স.ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র ও ক্রোড়পত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকারের সঞ্চালনায় আজকের অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।