শিক্ষাখাতে এক মহা দান বীর ‘শিক্ষাবন্ধু’ আব্দুল কাদির মোল্লা
এইচ আর শফিক: দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রসারে যেন একজন মহাবতার হয়ে এগিয়ে এসেছেন ‘শিক্ষাবন্ধু’ আব্দুল কাদির মোল্লা। মাত্র ৩৬০ টাকার জন্য এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার আক্ষেপটাই যেন তার বাস্তব জীবনকে হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ত্রাতা করে গড়ে তুলেছেন সৃষ্টিকর্তা।
নরসিংদীর শিল্পপতি সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আবদুল কাদির মোল্লাকে শুধুমাত্র একজন দানবীর বা অবতর বলেই শিক্ষাখাতে তার অবদানকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। মানবতার মূর্ত প্রতীক, শিক্ষানুরাগী, দানবীর দেশের অন্যতম শীর্ষস্থনীয় প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লা নরসিংদীকে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে আদর্শিক, নৈতিক, মানবিক ও শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে “মানুষ মানুষের জন্য, সেবাই আমাদের অঙ্গীকার” এই মর্মবাণী হৃদয়ে ধারণ করে পিতার নামে গড়ে তোলেন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজ জেলা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বিস্ময় ঘটিয়েছেন তিনি।
সেইসাথে দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় সংকট কর্মসংস্থানের যোগান দিতে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য শিল্প ও প্রতিষ্ঠান।
মানবতা ও বিবেকের তাড়না থেকে তার এমন কাজের জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য খেতাবে। সম্প্রতি দেশের শিক্ষা খাতে তার অসামান্য অবদানের জন্য আব্দুল কাদির মোল্লাকে ‘শিক্ষাবন্ধু খেতাবে ভূষিত করেছে এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এটিএন বাংলার কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি সৌজন্যে তাঁকে ‘শিক্ষা বন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, আব্দুল কাদির মোল্লা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতে আয়ের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট একটি অংশ ব্যায় করেন শিক্ষা, ধর্মীয় খাত সহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডে। দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার মিশনে ১৯৯৫ সালে নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজ। ২০০৬ সালে নরসিংদী শহরে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের নামে আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ যা শুরু থেকেই বাজিমাত। পরপর তিনবার দেশের মধ্যে ২য় স্থান। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করেন স্ত্রীর নামে এনকেএম হাই স্কুল এন্ড হোমস ও আব্দুল কাদির মোল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এই প্রতিষ্ঠান গুলো মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত।
এছাড়াও নরসিংদী জেলার ১৫১ টি স্কুল, ৫৭টি কলেজে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাতেও অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ৮৫ টা এতিমখানা উনার অনুদানে পরিচালিত হয়ে আসছে। ৩১৫টা স্কুলে মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন এর এফডিআর রয়েছে, যা থেকে খন্ডকালীন শিক্ষকদের বেতনসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যয় করা হয়।
তার অর্থায়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ছাত্রহল (নির্মাণাধীন), ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য থার্মেক্স গ্রুপের পক্ষ থেকে দেয়া দেওয়া হয়েছে বাস। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ চলছে। সম্প্রতি এফডিসিতেও মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নরসিংদীর জেলায় গড়ে তোলেন অসংখ্য মসজিদ। এর মধ্যে অন্যতম বেলাব বাজার জামে মসজিদ। এতে ১২,০০০ মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারেন।
এসব ছাড়াও মানকল্যাণে তার অসামান্য কর্মকাণ্ড তাকে সমাজের সাধারণ মানুষের নিকট তাকে একজন মানবতার অবতার হিসেবে পরিচিত করেছেন।
মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া এই মহান মানুষটি নিজেকে রাখেন অনেকটাই আড়াল করে থাকেন প্রচারবিমুখ। আবদুল কাদির মোল্লা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী একজন মানুষ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই কাজ পাগল এই মানুষটার সমস্ত ভাবনা জুড়েই যেন মা মাটি ও মানুষের ভাবনা। চিকিৎসা সেবা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতাকে সহায়তা, বেকার যুবকদের অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসায় সহায়তা, রিকশা-ভ্যান দিয়ে সহায়তা, বিধবা নারীদের সেলাই মেশিন, আবাসন ব্যবস্থা, টিউবওয়েল সহ নানাবিদ মানবিক কর্মকাণ্ডে যেন উৎসর্গ করেছেন তার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ।
শিক্ষাখাতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ আব্দুল কাদের মোল্লার সম্পর্কে নরসিংদী জেলার বেশ কয়েকজন পেশাজীবী মানুষের সাথে আলাপ হয় প্রতিবেদকের। তাদের অনেকেই জানান এমন শিক্ষা বান্ধব ও মানবিক মানুষ দেশের প্রতিটি জেলায় একজন থাকলে দেশটা সত্যিকারেই সোনার বাংলা হয়ে উঠতো।