বিহারী আরমান – আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ হাইকোর্টের

PicsArt_11-08-03.22.32.jpg

আমাদের সময়ে প্রতিবেদন
পুলিশের কারণে ৪ বছর কারান্তরীণ সেই বিহারী আরমান মুক্তির পথে
॥ আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ হাইকোর্টের
॥ দুই ওইসসহ সেই ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে এবার স্বচ্ছ তদন্ত করবে পিবিআই
পুলিশের কারণে ৪ বছর কারান্তরীণ সেই বিহারী আরমান মুক্তির পথে
॥ মাদক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের বদলে পুলিশ ধরে নির্দোষ আরমানকে

পুলিশের কারণে মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির পরিবর্তে প্রায় ৪ বছর ধরে বিনা অপরাধে কারান্তরীণ রাজধানীর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা সেই বেনারশী কারিগর বিহারী মো. আরমানের (৩৭) মুক্তি মিলছে অবশেষে।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল ‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে দৈনিক আমাদের সময়ে একটি প্রতিবেদনে ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জারি করা রুল যথাযথ উল্লেখ করে বৃহষ্পতিবার আরমানের আটকাদেশ অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে অবিলম্বে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী।

রায়ের বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব আমাদের সময়কে বলেন, শুধু মুক্তিই মিলছে না ভুল আসামি আরমানের; পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্দেশ প্রতিপালনের হলফনামা দাখিল করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া আরমানকে গ্রেপ্তার এবং তার কারাভোগের ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তার দায় নিরূপন এবং দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজিকে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
ওই চার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- পল্লবী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির, এসআই মো. রাসেল (বর্তমানে সিআইডি সদরদপ্তরে কর্মরত) এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম (পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিভাগে কর্মরত) এবং ডিএমপি’র আদালত পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম। তাদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে ‘ক্লোজড’ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে। সেই সাথে বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে।
হাইকোর্ট তার রায়ে, আমাদের সময়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। হাইকোর্ট বলেছেন, সাংবাদিকতা হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পন। তারা এভাবে সঠিকভাবে কাজ করলে সমাজে দুর্নীতিবাজ ও অন্যায়কারীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব। আদালত প্রতিবেদককে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও ব্যারিস্টার পল্লব জানান।

অপরাধী না হয়েও পাটকল শ্রমিক জাহালমকে জালিয়াতির ৩৩ মামলার আসামি হয়ে ৩ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল। অনেক ঘাটের জল পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে তিনি বর্তমানে কারামুক্ত। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা যখন মানুষের মুখে মুখে; এর রেশ না কাটতেই গত বছরের ১৮ এপ্রিল ‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে আরেক জাহালম-কাণ্ড।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, পুলিশের ‘ভুলে’ নির্দোষ হয়েও শুধু পিতার নামে (মৃত ইয়াছিন) মিল থাকায় রাজধানীর পল্লবী থানার এক মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদক সম্রাট শাহাবুদ্দিন বিহারীর বদলে পল্লবীর ১৩ হাটস, ব্লক-এ, সেকশন-১০ তেজগাঁও নন লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃগীরোগী আরমান ৩ বছর বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করছেন। শুধু পিতার নামে মিল থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে শাহাবুদ্দিন নামে আদালতে সোপর্দ করে। অন্যদিকে প্রকৃত আসামি মাদক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন কারাগারের বাইরে দিব্যি মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত এই শীর্ষ স্থানীয় মাদক কারবারি ধরা পড়েনি।

আমাদের সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশের মিরপুর বিভাগ। তদন্তে নির্দোষ আরমানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কয়েক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি। যদিও রহস্যজনকভাবে মিরপুর বিভাগ পুলিশের তদন্তকালীন সময়েই পরিদর্শক পদে পদোন্িনত পেয়ে যান মিরপুর মডেল থানার তৎকালীন এসআই রাসেল। তাকেই গ্রেপ্তারকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত বলে দাবি করছেন আরমানের পরিবার। ওই ঘটনায় পল্লবী থানার সাবেক এক এসআইকে বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত এক পরিদর্শককে পাঠানো হয় বাধ্যতামূলক অবসরে। আর পল্লবী থানায় কর্মরত দু’জন পুলিশ সদস্যকে করা হয় বদলি। আটকে দেওয়া হয় তাদের পদোন্নতি। পরবর্তীতে আরমানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শাস্তি পাওয়া এক এসআই পরিদর্শক রাসেলকে (আভিযানিক দলের প্রধান) ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন।

এদিকে নির্দোষ হয়েও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ৩ বছর ধরে কারাগারে থাকা পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে কেন তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছরের ২৩ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি শেষে ওইদিন রুলসহ আদেশ দেন। ওই মামলার যাবতীয় নথিপত্র সাত দিনের মধ্যে পাঠাতেও ঢাকার মহানগর দায়রা জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়। দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল রিটটি করা হয়।

আরমানকে কেন মুক্তি দেওয়া হবে না এবং তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একই বছরের ৯ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আরমানকে আটক রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে হাইকোর্টে হাজির করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার, পল্লবী থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। কারাবন্দি আরমানের মা বানুর করা এক রিট আবদেনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রুলসহ আদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

আমাদের সময়ের প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকালে আরমানকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানাপুলিশ। এর ৩ দিন পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই থেকে তিনি কারান্তরীণ। আর সাজাপ্রাপ্ত মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারি এখনো রাজধানীর মিরপুর ১০, ১১, ১২ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা করছেন। ২০০৫ সালে তালিকাভুক্ত এই মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। অসুস্থ আরমানকে মুক্ত করতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আরমানের মা বানু খাতুন ও স্ত্রী বানু বেগম। দরিদ্র এ দুই নারী সংসারের ঘানি টানতে অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছেন। এমতাবস্থায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসছে মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারির হুমকি-ধমকি।
ভুক্তভোগী আরমান ও তার স্বজনদের দাবি, পুলিশ শাহাবুদ্দিন ভেবে আরমানকে গ্রেপ্তার করলেও তিনি নির্দোষ। মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারিও উর্দুতে এই প্রতিবেদককে বলেন- মাদকের সাজা আমার নামে, পুলিশ কেন আরমানকে ধরেছে তা বলতে পারি না। পুলিশের ভুলেই খামোকা জেল খাটছে ছেলেটা। আমিও চাই আরমান মুক্ত হোক।
আরমানের মা এবং আরও কিছু সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট গভীর রাতে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকের ৮ নম্বর লেনের ৭ নম্বর ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৪০ পিস ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের ৭ নম্বর টিম। তিনি তখন সপরিবারে সেখানে বসবাস করতেন। ডিবির পরিদর্শক আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে চলা ওই অভিযানে শাহাবুদ্দিন ছাড়াও গ্রেপ্তার হয় তার দুই সহযোগী সোহেল মোল্লা ও মামুন ওরফে সাগর। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের ১৯(১)/৩(ক) ধারায় মামলা হয় পল্লবী থানায় (মামলা-নম্বর ৬১(৮)০৫)। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম। মামলায় দুবছর জেল খেটে ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিন পান শাহাবুদ্দিন। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্বাক্ষরযুক্ত জামিননামার মাধ্যমে জামিন নেন; জামিনদার হন তার ভাই মানিক। কিন্তু এর পর তিনি আর আইনের মুখোমুখি না হয়ে ফেরারি হয়ে যান। ওই মামলায় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফারুক আহম্মদ। পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে আরও জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ১৩ হাটস, ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। এ অভিযানে ছিলেন তৎকালে ওই থানার এসআই রাসেলও যিনি প্রতিবেদন তৈরিকালীন সময়ে মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। আরমান বাসায় নাশতা সেরে চা পানের জন্য পাশের একটি চায়ের দোকানে যায়। অভিযানকারীরা সেখান থেকে তাকে আটক করে। খবর পেয়ে আরমানের মা ও দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পুলিশের কাছে যান।
আরমানের মা জানান, তারা তখন আরমানকে আটকের কারণ জানতে চান। পুলিশ কোনো উত্তর দেয়নি। সন্তানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি করজোর মিনতি করলেও ছাড়া হয়নি আরমানকে। বরং মা ও স্ত্রীর সামনেই আরমানকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেদম পেটানো হয়। এর পর রক্তাক্ত আরমানকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। এর পর থানায় যান আরমানের মা। কিন্তু সেখানে গিয়েও জানতে পারেননি কেন তার সন্তানকে ধরে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, থানায় সন্তানের কোনো খোঁজই পাননি, আরমান কোথায়; পুলিশও এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। এর তিন দিন পর থানার এক পুলিশ সদস্য গোপনে বানু খাতুনকে জানান, আরমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার অবস্থা গুরুতর। আরমানকে পল্লবী থানার ৬১(৮)০৫) নম্বর এবং ঢাকার জননিরাপত্তা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা একটি মাদক মামলার (মামলা নম্বর-২৫২১/২০০৫) সাজা পরোয়ানার মূলে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পল্লবী থানার এএসআই শহিদুর ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি আরমানকে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর আরমানের মা ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার মেঝেতে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান আরমানকে। অসুস্থ অবস্থাতেই আরমানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে স্থানান্তর করা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর-২ নম্বর কারাগারে। বর্তমানে সেখানেই কারান্তরীণ বিহারী আরমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top