বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর ১৩ বছর; জনগণ কি পেলো? – ড. এবিএম মাহমুদুল হক
২০০৭ সনে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর পর ১৩ বছর অতিবাহিত হলো। আজও অনেকে প্রশ্ন করছেন যে, পৃথকীকরণ এর ফলে জনগণ কি পেলো? তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পৃথকীকরনের ফলে বিচার বিভাগের যে আমূল পরিবর্তন করা হয় তার পুরো সুফল আজ জনগণ ভোগ করছে।
যদিও ২০০৭ সনের পূর্বে পূর্ণকালীন ও খণ্ডকালীন মিলিয়ে যেখানে দুই হাজারের বেশি ম্যজিস্ট্রেট কাজ করতো সেখানে মাত্র ৬৪৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর পদ সৃজন করা হয় তথাপি এই ৬৪৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিরলস পরিশ্রম, দক্ষতা, যোগ্যতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে এদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এখন আর কোনো বিচারপ্রার্থীকে সাক্ষী নিয়ে এসে ঘুরে যেতে হয় না, ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় না, কোন প্রকার চাপের কারণে কাউকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে হয় না এবং বিচারের জন্য দিনের পর দিন বা বছরের পর বছর ঘুরতে হয়না।
উপরন্তু ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল ও গণমূখী করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রত্যেক জেলায় নির্মিত হচ্চে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৮-১২ তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন।
তবে এটা অনস্বীকার্য যে, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ৬৪৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খুবই অপ্রতুল। আরো অধিক পরিমাণে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর পদ সৃজনের পাশাপাশি দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থাকেও আধুনিকায়ন করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে প্রকৃত সুফল।
ড. এবিএম মাহমুদুল হক
ভোলা জেলার জেলা ও দায়রা জজ।