সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ বাংলাদেশের জন্য হুমকি – মির্জা ফখরুল ইসলাম

PicsArt_08-14-02.06.44.jpg

সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ বাংলাদেশের জন্য হুমকি – মির্জা ফখরুল ইসলাম

রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে বিএনপি।

আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ইতোমধ্যে আমরা সবাই অবগত যে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে। অন্তত তিনটি পয়েন্টে সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের অন্তত তিনটি পয়েন্ট– কা নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু- এ ট্রলার থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈন্যদের নামতে দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটির দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখার (২০০ মিটার) মধ্যে। ওই তিন পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারের কাঠের নিচে বসিয়ে সৈন্যদের জড়ো করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক দিনেই এক হাজারের বেশি সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে গণহত্যা শুরুর সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ঠিক একইভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সৈন্য সমাবেশ করেছিল। ফলে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে শুরু হওয়া সেনা সমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সন্দেহজনক গতিবিধির মাধ্যমে এ ধরনের সেনা সমাবেশ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মিয়ায়নমারের রাখাইনে আবদ্ধ রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সেনা তৎপরতা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি রক্তচক্ষুর বার্তার সমতুল্য।

তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ ধরনের সমাবেশ শুধু মিয়ানমারের নৃতাত্ত্বিক রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর জন্য আতংকের বিষয় নয়, একই সঙ্গে এটা চলমান আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্র কর্তৃক আইন অবমাননার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top