ভোলায় ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ঘুমন্ত গৃহবধূর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন। এসময় গৃহবধূ ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নিজের সম্ভ্রম বাঁচালেন।
রবিবার গভীর রাতে ভোলার চরফ্যাশনে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহত ও রক্তাক্ত নঈমকে (৩৫) উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত নঈমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নঈম একই গ্রামের আজম আলী সর্দারের ছেলে এবং পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার নঈমকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
গৃহবধূ জানান, তার স্বামী পেশায় জেলে। ঘটনার রাতে স্বামী বাড়ি ছিলেন না, মাছ ধরার কাজে নদীতে ছিলেন। ঘরে ৯ বছরের সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। গভীর রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এসময়ে ঘরের বাইরে ওৎ পেতে থাকা নাঈম ঘরে ঢুকে চকির নিচে লুকিয়ে থাকেন।
গৃহবধূ বাইরে থেকে এসে দরজা বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর বিবস্ত্র নঈম গৃহবধূকে ঝাপটে ধরেন এবং মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন গৃহবধূ। ধস্তাধস্তির মধ্যেই বিছানার পাশে সেলাইয়ের কাঁথা থেকে ধারালো ব্লেড হাতিয়ে নেন গৃহবধূ। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ব্লেড দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী নঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
প্রতিবেশী মাকসুদ জানান, পুরুষাঙ্গ কাঁটার পর বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করেন নঈম। চিৎকার দিয়ে উঠেন গৃহবধূও। ডাক-চিৎকারে তারা ছুটে আসেন এবং নঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠান।
গৃহবধূ আরো জানান, স্বামীর সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে নঈম তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। একপর্যায় নঈম তাকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে। বিষয়টি তিনি স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন।
গ্রামবাসীরা জানান, নঈম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
চরফ্যাশন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল আহমেদ মিয়া জানান, পুরুষাঙ্গে ৫০ ভাগ ক্ষত থাকায় নঈমকে বরিশাল রেফার করা হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেওয়া হয়েছে।