বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ল’রিয়েল-ইউনেস্কো পুরস্কার পেলেন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. ফিরদৌসী কাদরী আন্তর্জাতিক সম্মাননা ল’রিয়েল-ইউনেস্কো উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ডে (এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল) ভূষিত হয়েছেন।
উন্নয়নশীল দেশে শিশুদের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পুরস্কারজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে পুরস্কারদাতা ‘ফর উইমেন ইন সায়েন্স’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং মিউকোসাল ইমিউনোলজি অ্যান্ড ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান ড. ফিরদৌসী বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েবিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবসে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আগামী ১২ মার্চ ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ ইউরো (৯২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার বেশি)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইইআর) সাবেক অধ্যাপক নওশাবা খাতুন ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শামসুল হুদা চৌধুরীর কন্যা ফিরদৌসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করার পর যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে ১৯৮৮ সালে তিনি আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন।
২০১০ সালে তিনি আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ‘মজিলো ক্যাচিয়ার পুরস্কার’ লাভ করেন।
এরপর ২০১২ সালে ভূষিত হন ইন্সতিতুত দ্য ফ্রাঁস-এর ‘ক্রিস্তোফ মেরো’ পুরস্কারে।
ফিরদৌসী ছাড়াও ল’রিয়েল-ইউনেস্কো পুরস্কারে আরও চার নারী বিজ্ঞানী ভূষিত হয়েছেন।
অঞ্চলভেদে পুরস্কারপ্রাপ্ত এ চারজন হলেন- লেবাননের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আবলা মেহিও সিবাই, কলেজ দ্য ফ্রান্সের প্রফেসর এডিথ হার্ড, মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির জেনোমিক সায়েন্স সেন্টারের প্রফেসর এসপারেনজা মার্তিনেজ-রোমেরো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর প্রফেসর ক্রিস্টি আনসেট।