২৩৩ রানেই থেমে গেলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস ২৩৩ রানে অল-আউট বাংলাদেশ। ৮২.৫ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরপরই আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন আম্পায়ার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ০ রানেই শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ আব্বাসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়ে সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেট সর্বোচ্চ রান করা তামিম ইকবালকে।
দলের দুঃসময়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন মুমিনুল হক। কিন্তু দলীয় ৬২ রানের মাথায় শাহিন আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক রেজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হককে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩০।
অধিনায়কের বিপদের পর ধাক্কা সামাল দেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে বাংলাদেশ।
কিন্তু বিরতির ঠিক পরের ওভারেই বিদায় নিতে হয় শান্তকে। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের ওভারে ৫ বল মোকাবেলা করলেও শেষ বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্ট্যাম্পের পিছনে ক্যাচ দিয়ে মাঠে ছাড়েন শান্ত।
দলীয় ১০৭ রানে আফ্রিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাংলাদেশ স্কোয়াডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি করেন মাত্র ২৫ রান।
রিয়াদ ফেরার পর ৫৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও লিটন দাস। দলের রান যখন ১৬১ তখন এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন লিটন। অবশ্য আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। কিন্তু পাকিস্তান রিভিউ নিলে ফিরতে হয় লিটনকে। তিনি করেছেন ৩৩ রান।
৬ উইকেটে ১৭২ রান করে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। চা বিরতি থেকে ফিরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মোহাম্মদ মিথুন ও তাইজুল ইসলাম। ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন তারা। দলীয় ২১৪ রানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইয়াসির শাহর হাতে ধরা পড়েন তাইজুল। ৭২ বলে ২৪ করেন তিনি। এরপর বাকি তিন উইকেটও পড়ে গিয়েছে দ্রুত।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩৩ (৮২.৫ ওভার)
(তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিথুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, রাহি ০, ইবাদত ০*; শাহীন আফ্রিদি ৪/৫৩, আব্বাস ২/১৯, নাসিম ১/৬১, ইয়াসির ০/৮৩, হারিস ২/১১)।