নৌশ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
স্টাফ প্রতিবেদকঃ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও খাবার ভাতাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনভর কর্মবিরতি পালনের পর গভীর রাতে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিক আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ দিনের। আগেও শ্রমিক, মালিক ও সরকারের মধ্যে কয়েকদফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গতকাল শ্রম অধিদফতরের সঙ্গে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্তের পর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি।’
অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট ডাকার পর লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সরকারের তরফে বৈঠকের আয়োজন করে শ্রম অধিদফতর। শ্রম ভবনে শনিবার বিকাল তিনটায় অধিদফতরের সচিব একেএম মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বৈঠক শুরু হয়। এরপর মধ্যরাতে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
চৌধুরী আশিক আলম জানান, বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগ পত্র,পরিচয় পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়া হবে।
গত ৪ অক্টোবর নৌ পরিবহন অধিদফতরের সঙ্গে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন ও মালিকদের সম্পাদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড, কল্যাণ তহবিলসহ ৭টি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।
ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস জটিলতা দূর করা হবে। শ্রমিক পক্ষের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে খোরাকি ভাতার বিষয়টি ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের ওপর হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব শ্রমিক ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী বেতন পায়নি, তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং
ডিসেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে গাজী সালাউদ্দিন লঞ্চের শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা হবে।