মির্জা আব্বাসের মারপ্যাঁচের বলি পল্টনের ওসি মাহমুদুল হক

PicsArt_10-01-12.00.38.jpg

মির্জা আব্বাসের মারপ্যাঁচের বলি পল্টনের ওসি মাহমুদুল হক

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস সহ অন্তত এক ডজন নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং অর্থ কেলেঙ্কারি মামলা রয়েছে পল্টন থানায় । এসব মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশংকা থেকেই ওসি মাহমুদুল কে ফাঁসানো হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। পল্টন থানায় ,গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, অর্থ কেলেঙ্কারি সহ পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে ১৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে নামে মামলায় আসামি করা হয় এবং গ্রেফতার দেখানো ১৬ জনকে।মাহমুদুল হক পল্টন থানায় যোগ দেওয়ার পরে জামাত, বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।আর তাই চক্ষুশূল হলো মির্জা আব্বাসের।তার নেতাকর্মীদের সহ স্ব সস্ত্রীক মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশংকা থেকেই বলির পাঠা বানানো হয় ওসিকে। এজন্যই মির্জা আব্বাসের অসুস্থ রাজনীতির মারপ্যাঁচে বলি হলেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বিষয় হচ্ছে মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও তাঁর নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে অন্তত অসংখ্য মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। এসব মামলায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী নিশ্চিত ফেঁসে যাবেন জেনেই মামলাগুলো থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া খুব বেশি জরুরি ছিল মির্জা আব্বাসসহ তার দলের অনেক নেতাকর্মীদের। নানা কৌশল অবলম্বন করেও এসব মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তখন বহু কাজের কাজী হিসেবে পরিচিত এই গ্রুপটিতে ব্যবহার করেন মির্জা আব্বাস। বিএনপি পন্থী নওগাঁর মেয়ে মানছুরা খাতুন রিভা কে মাস্টার প্লান বানিয়ে তরুনীকে ব্যবহার করেছেন তিনি। মেয়েটির ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে মাহমুদুল হক এর সাথে পরিচয় করার কৌশল বেছে নেন আর তাতেই কাজ হয়ে গেল। মাহমুদুল হক আর ওই তরুনীর বাড়ী একই এলাকায় ওসি মেয়েটিকে সরল মনে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে এটাই কাল হয় ওসি মাহমুদুলের। এটা স্পষ্ট যে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের কর্মী ওই অভিযোগ কারী মেয়ে যে যেরকম চাকুরী ডিজার্ভ করে সেটা একজন ওসির পক্ষে কখনও দেওয়া অসম্ভব এটা যে মিথ্যা তা স্পষ্ট।একই মেয়েকে বারবার ধর্ষন করার কোন কারনই নাই, যদি কোন সম্পর্ক হয়ে থাকে তাহলে ওই মেয়েই শারীরিক সম্পর্ক করে ওসির সাথে ষড়যন্ত্র করেছে। একজন ছেলে তাকে চাকুরির কথা বলে ঢাকায় ডেকে আনলো আর ওই মেয়ের সাথে কোন অভিভাবক আসলো না, এইটাই তো খারাপ মেয়ে এবং খারাপ পরিবারের একটা বড় লক্ষন। এইটা অবশ্যই মাহমুদুলের বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র। যেখানে টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার মেয়ে পাওয়া যায়, সেখানে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে এইটা অবিশ্বাস্য। আর সে মোবাইলে ভিডিও ধারন ও ছবির কথা বলছেন সেটাই তার বড় প্রমান সে ইচ্ছাকৃতই সব কিছু করেছে গোপনে যাতে করে মাহমুদুল হককে ফাঁসাতে পারে।
অভিযোগকারী মেয়ের নাম মানছুরা খাতুন রিতা পিতাঃ একরামুল হক, মাতাঃ আলেয়া বেগম,গ্রাম-গাঙ্গুরিয়া,থানা ও জেলা-নওগাঁ ক্যাশিয়ার হিসেবে ঢাকা ব্যাংক রংপুর শাখায় কর্মরত।মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করা মেয়ে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন কোথা থেকে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
আরো জানাযায় পুলিশ সদস্য কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ, এস আই নাদিম আরএমপিতে র্কমরত,বিজিবি সদস্য বকুল,চাঁপাইনবাবগন্জের এসপি মুজাহিদ সহ অনেকে এই মানছুরা খাতুন রিভার ভিক্টিম।এমনকি তার বেড়াজালে এক সাংবাদিকও নাজেহাল হন। সেই সাংবাদিকের নামে সে একটা মিথ্যা মামলাও ঠুকে দেন আদালতে পরে সাংবাদিক তার মানসম্মান বাঁচাতে এই প্রতারককে মোটা অংকের টাকা দিলে সে সেই মামলা তুলে নেন। এভাবে সে অনেকের সংসার-জীবন তছনছ করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।সে প্রকৃতপক্ষে একজন ভদ্রবেশী বেশ্যা,প্রতারক,ব্ল্যাকমেইলার এবং চরম অর্থলোভী।অনুসন্ধানে জানা গেছে,সেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ।দেহব্যবসার মাধ্যমে তাঁর পরিবারের খরচ চলে এবং কট্টর বিএনপি পন্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top