লালমোহনে নির্বাচনী অফিস ও প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, আহত-২১
লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন পৌরসভা নির্বাচনে পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের নির্বাচনী অফিস ও বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী হেলালউদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমোহন পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড মিন্টু মিয়ার বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২নং ওয়ার্ড এলাকার নাডা বাড়িতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে থানা পুলিশের বাধায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর কিছুক্ষন পর পুনরায় কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের অফিস ও বাসায় ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিন হাওলাদারের কর্মী সমর্থকগণ। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের স্ত্রীসহ ১৪জন আহত হয়। এরমধ্যে বেশিরভাগই নারী। পরে আবারো থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচুল হক অভিযোগ করে বলেন, নাডা বাড়িতে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির শেষে হেলালউদ্দিন কাউন্সিলরের কর্মীরা পুলিশের বেশ ধরে বাঁশি ফু দিয়ে আমার নির্বাচনী অফিস ও বাসা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এতে আমার স্ত্রীসহ ১৪জন আহত হন। বাসার সকল আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহিলাদের স্বর্ণাংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কাউন্সিলর প্রার্থী হেলালউদ্দিন হাওলাদার জানান, নাডা বাড়িতে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথাকাটি হয়। পরে কথাকাটির জের ধরে আনিচল হকের কর্মীরা আমার বাসায় হামলা করতে এলে আমার মা বাধা দিলে তাকেসহ আরো কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। এসময় আমার মা গুরুত্বর আহত হন। বর্তমানে তিনি ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, সংবাদ শুনে এএসপি (লালমোহন সার্কেল) রাসেলুর রহমান স্যারসহ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।