ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

PicsArt_09-20-04.23.37.jpg

ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ছাত্রলীগকে সততা, আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কোনও নালিশ শুনতে চাই না। নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (১৯ সেপ্টেম্বর) গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি। সমাজের সব অসঙ্গতি দূর করবো। অপরাধ, অনাচার রোধে যা যা করার করা হবে। যাকে যাকে ধরা দরকার, তাদের ধরা হবে।

তিনি বলেন, জানি, কাজটা কঠিন, বাধা আসবেই, কিন্তু জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফেরাতে সরকার তা করবে।

এ সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার ২৩ জন নেতার পাশাপাশি ছাত্রলীগের দেখ ভালে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের চার নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তার হাতে ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান।

গণভবনে শেখ হাসিনা বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনা দেন ছাত্রলীগ নেতাদের। এ সময় তিনি ছাত্রলীগকে সংযম, সততা ও আদর্শ নিয়ে চলার নির্দেশ দেন। ছাত্রদলের মতো আচরণ না করতেও নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

অনিয়মকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে ক্যাসিনো নিয়ে মারামারি খুনোখুনি হবে, এগুলো টলারেট করবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমি কষ্ট করে সব কিছু করছি দেশের জন্য, দেশের উন্নয়ন করছি, এর ওপর কালিমা আসুক সেটা আমি কোনোভাবে হতে দেবো না। আমি কাউকেই ছাড়বো না। যদি কেউ বাধা দেয়, কাউকে ছাড়া  হবে না।’

ক্যাসিনোতে যেসব বিদেশি কাজ করছে এবং যারা তাদের এনেছে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাসিনোর সঙ্গে যেসব বিদেশি জড়িত, তারা আসলো কীভাবে, তারা ভিসা পেল কীভাবে, তাদের বেতন দেওয়া হয় কীভাবে, ক্রেডিট কার্ডে না ক্যাশে, কে ভিসা দিয়ে আনলো, সব কিছু তদন্ত করা হচ্ছে। সবইকে ধরা হবে।’

জীবনে ত্যাগ স্বীকার করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কমপ্রোমাইজ করতে বলেছিল, তখন বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে নেই।’

নিজের জীবনে রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যত প্রতিকূল অবস্থা আমার জীবনে মোকাবিলা করতে হয়েছে, বাংলাদেশের আর কারও হয়নি। আমাকে অনেক অফার দেওয়া হয়েছে। জীবনে কখনও কম্প্রোমাইজ করিনি।’

সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে নিজের শ্রমের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খেটে দেশকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। যারা বলেছিল, এদেশ বটমলেস বাস্কেট হবে (আমেরিকার প্রতি ইঙ্গিত করে); পাকিস্তান বলেছিল- বাংলাদেশ হবে বোঝা, গরিব দুখি জাতি। আজকে তাদের ওখানে আলোচনা হচ্ছে- বাংলাদেশ এমন হলো কেমনে, বাংলাদেশের এই সফলতা!’

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে রেজওয়ানুল হক শোভন ও গোলাম রাব্বানীর পদত্যাগের পর আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top