সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন – হাইকোর্ট।

PicsArt_05-30-06.24.51.jpg

সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন – হাইকোর্ট।

আদালত প্রতিবেদকঃ

আদালত বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। তারা না থাকলে সমাজের এইসব ঘটনা এইভাবে প্রকাশ পেত না। আমরাও জানতে পারতাম না। তারা আছেন বলেই দেশের মানুষ এসব জানতে পারছে।

এসময় মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষের আইনজীবী বলেন, শর্সের মধ্যেও ভূত আছে।  

আইনজীবী বলেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। তার কাছ থেকে ভিডিওটি নিয়ে সজল নামের একজন সাংবাদিকের হাতে যায়। সেখান থেকেই ভিডিওটি ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। এসময় আদালত বলেন, যে আশঙ্কা করছেন, ওটা সাংবাদিকদের হাতে গেলে আগেই প্রকাশ পেত। সবাই সচেতন হয়ে গেলে মেয়েটিকে আর মরতে হত না।  


আইনজীবী বলেন, সাংবাদিকরাতো এখন তেলাপিয়া মাছের মত। তখন যদি ভিডিও(নুসরাতের বক্তব্য) না করে মামলা নিত তাহলে এদের (সাংবাদিকদের) কেউ কেউ প্রশ্ন করত কত টাকা খেয়ে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এসময় আদালত বলেন, এই ঘটনার পেছনে সাংবাদিকরা যদি শুরু থেকেই লেগে থাকত তাহলে এই ঘটনা (নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া) হয়তো ঘটত না।

কিছু কিছু ওসি, ডিসি নিজেদের জমিদার মনে করেন : হাইকোর্ট।



ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়েছে।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন।  

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন খারিজ করায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছে।

আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আহসান উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।

মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাকারী ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমনও উপস্থিত ছিলেন।


এদিকে শুনানিকালে আদালত ওসির কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সবার কথা বলছি না। কিছু কিছু ওসি, ডিসি আছেন যারা নিজেদের জমিদার মনে করেন।

কানে কম শুনলে ওসি থাকে কি করে?
শুনানির শুরুতে মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী বলেন, উনার (মোয়াজ্জেম হোসেন) বিরুদ্ধে যে মামলা, তা জামিনযোগ্য। তাতে সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন নয় যে, তাকে জামিন দেওয়া যাবে না।


তিনি বলেন, এটি একটি ভিত্তিহীন মামলা। তাছাড়া দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সে ভিডিও করেছে। তার বয়স হয়েছে, হার্টেও সমস্যা আছে। তাই জামিন চাচ্ছি।

এসময় আদালত বলেন, আপিনি কি ভিডিও’র (যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল) কথাগুলো শুনেছেন? জবাবে আইনজীবী বলেন, ওসি মোয়াজ্জেমেরে কান খারাপ। কানে সমস্যা আছে। উনার কানের চিকিৎসা হচ্ছে। আদালত বলেন, কানে কম শুনলে ওসি পদে থাকে কি করে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top