অভিসরণ
মোঃ আঃ কুদদূস
আকাশের বুকে নাহি শত চাঁদ, একটি শশী
করে উন্মাদ, স্বপ্নের থাকে আহলাদ, নিদ্রা ভেঙ্গে
ফুরিয়ে গেছে সব সাধ।
এক মুঠো চাঁদের আলোর মত শ্বাশত
তাহার রজকীনি হাসি।
আঁধারে মিলায় না কভু, মেঘে ঢেকে
যায় না তবু-সেই হাসির তৃষ্ণায় এই
ঠোঁটযুগল সদা ব্যাকুল।
প্রাণে প্রাণের টান, মন করে উচাটন, হৃদয়ের
বাতিঘর জ্বলে, তাই চলি হেসে খেলে, আঁধারের
বুক চিঁড়ে, নীল জোৎস্নার পথ ধরে।
এক ফোটা স্বচ্ছ জল বিন্দুর মত পবিত্র
তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পরা ঘামের বিন্দু
মুক্তার মত মমতাবৃত সেই ঘর্মাক্ত গালের
টোলে জমাট নোনতা ঘামের কণা।
এক মুঠো মায়াবী জোৎস্নায় যদি তাহার
লাজুক হাসি আরেক বার দেখতে পেতাম,
তবে রাধা হয়ে কৃষ্ণ জয়ের স্বাদটুকু
মনের মুকুরে আস্বাদন করে করে
নিজেকে বাহবা দিতাম বৈকি!
তাই সময় পেলে একবার এসে, যেও অনেক
হাসি হেসে, হৃদয় পূর্ণ করো শুধু ভালোবেসে।
চাঁদের রুপালি আলো, ঝিরঝির দখিনা হাওয়া,
একটানা নিরবতা, থেকে থেকে হুতোম পেঁচার
ডাক, শিয়ালের হুররে হুয়া, গাছপালার নির্জন
ছায়ায়, ছায়া মানবীর শত মায়ার বাধন।
সুযোগ পেলে এক ভরা পূর্ণিমায় এসো
মল্লিকা বনে; এক মুঠো চাঁদের জোৎস্না
হাতে দিয়ে সাথী বানাবো আলোর অভিসারে।
চাঁদের সাথে, আলোর সাথে, আঁধারের বিপরীতে,
আলো আঁধারিতে, অস্ফুট রঙ্গনার মত
লাজুক ভঙ্গিতে, অধরের আধারে, এঁকে দিব
চির দিনের না বলা কথার প্রথম প্রকাশ।
যদি একটু সময় হয়, এসো, নিশীথ নির্জনে
এক মুঠো আভা, ধার করে তোমায় দিব,
আঁধার কাটিয়ে আলোর পথে চলার প্রত্যাশায়।
১৬ আগস্ট ২০১৮
অমিল মুক্তক ছন্দ।