২০২৮ সাল মধ্যে ভোলায় ১৯টি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা আছে – বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা

Picsart_24-11-02_09-04-57-548.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

২০২৮ সাল মধ্যে ভোলায় ১৯টি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা আছে – বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা

জেলা প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি গ্যাসের সংকট রয়েছে, তাই গ্যাস আমদানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়।

গ্যাস সংকট দূর করতে ভোলাতে পরিকল্পনা করে ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করা হবে। আর ২০২৮ মধ্যে আরও ১৪টি সর্বমোট ১৯ গ্যাসকূপ খনন করার পরিকল্পনা আছে।’

শুক্রবার (১ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনও গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের এখন চার হাজার এমসি গ্যাস দরকার, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র দুই হাজার। আমরা বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করছি, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। ঘাটতি মেটানোর জন্য বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হয়। জোরালোভাবে চেষ্টা করছি নতুন নতুন গ্যাস ফিল্ড তৈরি করে গ্যাসের উৎপাদনমুখী হওয়ার।’

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং টেন্ডার মাধ্যমে যাদের কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাবো আমরা তাকেই কাজ দেবো। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনও অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব দেইনি, তাই দুর্নীতি বেশি হয়েছে এই ধরনের বড় প্রকল্পে। আমরা জনগণের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে চাই।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, আমাদের জন্য এটি মিথ্যা আশ্বাস। আমি যেহেতু রাজনীতি করবো না তাই এই ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দেবো না। তবে ভবিষ্যতে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’

ভোলায় সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো আরও গ্যাস পাওয়া যায় কি না সেটার সম্ভাবনা এবং কী করলে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে সেটা দেখা। এখানে (ভোলায়) যে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে সেটির পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না।’

এ সময় ভোলার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান ও গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান, ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top