রত্তন কবিরাজ কে হত্যা!
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের রানীগঞ্জ বাজারে (৫ আগস্ট ২০২৪) বিকালে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করলে, রানীগঞ্জ বাজারের দু’টি আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে।
সেই সময়ে সাধারণ ছাত্ররা বাজারে মিছিল করলেও আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করেনি। ওহাব আলী কবিরাজের ছেলে ও তার নাতী রুবেল কবিরাজ কোন স্কুল ও কলেজের ছাত্র না হয়েও সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে আওয়ামী লীগের দু’টি অফিস ভাংচুর করে।
কিন্তু ভাংচুরের বিষয়টি স্থানীয় কবিরাজ বাড়ীর রত্তন কবিরাজ (রানীগঞ্জবাজারের আওয়ামী লীগের অফিসের পাহারাদার) দেখে ফেললে রুবেল তাকে নানা রকম গাল মন্দ করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি যেন কারো না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।
রানীগঞ্জ বাজারের আওয়ামী লীগের ক্লাব ভাংচুর করার কথা আওয়ামী লীগের স্থানীয় বিভিন্ন নেতা ও কর্মীদের জানায় রত্তন কবিরাজ।
এই ঘটনা জানাজানি হলে খিপ্ত হয়ে উঠে রুবেল ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। রত্তন কবিরাজের বাড়ী বড়মানিকা ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ী। ওহাব কবিরাজের ছেলে কাশেম কবিরাজ ও রত্তন কবিরাজ পাশাপাশি বাড়ীতে বসবাস করেন।
(২৯বৃহস্পতিবার ২০২৪) সকালে রত্তন কবিরাজ নিজ বাড়ী থেকে রানীগঞ্জ বাজারে আসার পথে রুবেল তার পথরোধ করে এবং তাকে পুনরায় নানা রকম হুমকি দেয়। তার ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিবে এবং তার প্রাননাশের হুমকি’র শোনামাত্র রত্তন কবিরাজ নিজেই নিজের বুক চেপে ধরে। এ সময়ে নানা রকম হুমকি দেয় রুবেল,পায়ের জুতা খুলে রত্তনকে মারতে যায়।
সেদিন রানীগঞ্জ বাজারে নিজের জন্য ঔষধ কিনতে এসে ঘটনাটি জানায় স্থানীয়দের। কিন্তু ঔষধ নিয়ে বাড়ী যাবার সাথে সাথেই রত্তন কবিরাজ মিত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
দুপুরের পর স্থানীয় বাজারে মাইকিং শোনা যায় রত্তন কবিরাজ মারা গেছে।
স্থানীয়রা রত্তন কবিরাজের মিত্যুর সংবাদ শোনার সাথে সাথেই বলে ওঠে এলাকার চিন্হিত রুবেলের কারণেই মিত্যু হয় রত্তন কবিরাজের। যদিও তাদের পাশাপাশি বাড়ী। রত্তন কবিরাজ আওয়ামী লীগের সক্রীয় একজন কর্মী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ওহাব আলী কবিরাজের ছেলে কাশেম কবিরাজ ও তার ভাইপো রুবেল, নিজের ছেলে শামিম হুমকির ফলেই রত্তন কবিরাজের মিত্যু হয়।
ওহাব আলী কবিরাজের ছেলে কাশেম কবিরাজ ও তার ভাইপো রুবেল কবিরাজ স্থানীয়দের নানা ভাবে হেনস্তার করেছেন। রানীগঞ্জ বাজারে অনেক সম্মানিত মানুষকে গালিগালাজ, অসম্মানজনক ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রুবেল ঢাকায় মুদি ও স্টেশনারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেখানে মালিকের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বাড়ীতে এসে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, রত্তন কবিরাজের পরিবার দিন আনে দিন খায়। অভিযোগ করারও সাহসও তাদের নাই। কারণ রত্তন কবিরাজের ছেলেরা পরের কামলা খাটে। শিক্ষার আলো না থাকায় কোথায় যাবে! কার কাছে বিচার চাইবে জানে না।
এদিকে, ওহাব আলী কবিরাজের ছেলে কাশেম কবিরাজ ও তার ভাইপো রুবেল কবিরাজ এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের টাকা পয়সার গরমে অতিষ্ঠ মানুষ।