ভোলা জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ এর অনিয়ম ও দূর্নীতি

Picsart_23-09-01_23-39-06-980.jpg

ভোলা জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ এর অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভি প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ এর অনিয়ম ও দূর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালী জেলায় দশমিনা উপজেলা অফিস সহকারীর সাথে হাতাহাতি ও মারামারি তাকে করলে তজুমদ্দিন উপজেলা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে বদলী করা হয়। তজুমদ্দিন উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করায় তাকে তখন পানিশমেন্ট বদলী কর হয় মনপুরা উপজেলায়।

মনপুরা থেকে পরবর্তীতে তাকে নোয়াখালী জেলায় বদলী করা হয়। পরবর্তীতে ভোলা জেলায় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে বদলী হয় আসেন।

ভোলায় এসে, তিনি পুনরায় অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন।

এনএটিপি প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতিঃ ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। ঐ সময়ে এনএটিপি প্রকল্পের ৭টি উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে, নানা রকম ভূয়া বিল ভাউচার করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

ভোলা জেলায় ( কৃত্রিম প্রজনন) এআই কর্মী নিয়োগে প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ গ্রহন করে। তাদের নিয়োগ দিয়েছেন।

মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতিঃ
মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের এই আই কর্মী নিয়োগও তিনি মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃত্রিম প্রজনন কর্মী বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা এফ আই সেলিমের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে নেন। এভাবেই তিনি প্রতিটি উপজেলা থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

পিপিআর ও খুঁড়া রোগ প্রকল্পের ভ্যাকসিন বিক্রিঃ
ভোলা জেলার জন্য বরাদ্দকৃত পিপিআর ও খুঁড়া রোগ প্রকল্পের ভ্যাকসিন তার পূর্বের কর্মস্থল নোয়াখালীতে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পিপিআর ও খুঁড়া রোগ প্রকল্পের ভ্যাকসিন বিক্রি করার সময় হাতে নাতে আটক হয় তারেক নামের সেই ভ্যাকসিন বিক্রেতা। গণমাধ্যমের গোপন অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে সেই তথ্য। যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

ভোলা জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা উপকূলীয় চরাঅঞ্চলে প্রকল্প থেকে খাবার, হাস পালন, মুরগী প্রকৃত খামারীদের না দিয়ে অন্যত্র বিক্রী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বাসায় না থেকেও বাসা ভারা নিয়েছেনঃ ভোলা জেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ ভোলায় যোগদান করার পর একদিনের জন্যও তিনি কোন ভারা বাসায় ছিলেন না৷ তিনি সব সময় থাকতেন, ভোলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় রেষ্ট হাউজে। যেখানে তিনি ভারা দিতেন প্রতি দিন ২৫ টাকা হারে। যা সরকারি চাকুরী বিধিমালায় প্রতারনার সামিল। বাসা ভারার টাকা সরকারের কোষাগার থেকে তুললেও তিনি ভারা বাসায় থাকতেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top