তারেক রহমানের ৯ জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
আদালত প্রতিবেদকঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রায় দিয়েছেন আদালত। পৃথক ধারায় তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২ আগস্ট২০২৩) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে রায় ঘোষণার জন্য বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর ৩টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
আরও সংবাদ পড়ুন।
এর আগে, ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় দুদকের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৪ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। মামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। শুরু থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এই মামলায় পলাতক রয়েছেন।
গত বছর ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আবারও মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।