‘আয়কর বিল-২০২৩’- ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে বিবরণী বাধ্যতামূলক
বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার আধুনিকায়নে জাতীয় সংসদে ‘আয়কর বিল-২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
এ বিলের বিধান অনুযায়ী ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলে বিদেশে সম্পদের মালিক হলেও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। এমনকি চিকিৎসা বা ধর্মীয় কারণ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদেরও সম্পদ বিবরণী জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করেন।
এ সময় অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। বিলটি উত্থাপনকালে এর বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার বিরোধিতা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলের বিধান অনুযায়ী, তিন শর্তের একটি প্রযোজ্য হলেই সম্পদের বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই শর্তগুলো হলো- অর্থবছরে মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা হলে; একটি মোটরগাড়ির মালিক হলে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হলে। এসব সম্পদে বিনিয়োগ করলেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সম্পদের রিটার্ন দিতে হয়। এ ছাড়া কোনো কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালক হলেও সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে।
যদি করযোগ্য আয় না থাকে, তবু দেশের সীমানা বাইরে গেলেই ফ্ল্যাট, জমি, আসবাব, ব্যাংক ব্যালান্সসহ যাবতীয় সম্পদের তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে উত্থাপিত বিলে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স রিটার্নসহ তাদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে। করদাতাদের ট্যাক্স রিটার্নে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে তাদের সম্পদ ও দায় উল্লেখ করতে হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো করদাতা যদি তার রিটার্নে বিদেশে থাকা সম্পদ প্রদর্শন না করেন, আর সেই সম্পদের খোঁজ যদি কর কর্মকর্তারা পান এবং ওই সম্পদ অর্জনের উৎস ও অন্যান্য বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তবে কর কর্মকর্তারা জরিমানা করতে পারবেন। বিদেশে থাকা সম্পত্তির ন্যায্য বাজারমূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায়ও করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের এ দেশে তাদের সম্পদ ও দায় ট্যাক্স রিটার্নে দেখাতে হবে। স্বামী বা স্ত্রী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের যদি টিন নম্বর না থাকে, সেক্ষেত্রে পরিবারের করদাতাকে তাদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আনীত প্রস্তাব সংসদে গৃহীত
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
প্রধানমন্ত্রী ৭টি জেলা, ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন