‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে চায় সরকার’- ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার রাষ্ট্রের যে আত্মা সেই আত্মার মূল চরিত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। গণতান্ত্রিক আত্মাকে তারা নষ্ট করে ফেলেছে। তারা তাদের কথা বলবে না। নিজেদের অভিযোগগুলো বলবে না, লিখবে না। সাংবাদিকরা যেন না লিখে সেজন্য এই ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে অন্যান্য আইন দিয়ে প্রতিপক্ষকে দূরে রেখে নির্বাচনে পার হয়ে যেতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে নাগরিকদের প্রতিহত করা হচ্ছে। যেন কেউই রুখে দাঁড়াতে না পারে, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে। তারা তাদের মতো করে এখনো রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ এদেরকে সরাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এটা দেশের দাবি, জনগণের দাবি।’
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘র্যাবের ঘটনা নিয়ে একটা ভিডিও গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে নাফিজ নামে একজন সাক্ষ্য দিয়েছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একটাই লক্ষ্য নাগরিকদের কথা বলতে দেওয়া হবে না, নাগরিকদের অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না।’
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুতফর রহমানসহ আরও অনেকে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
গণতন্ত্র-ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে – মির্জা ফখরুল ইসলাম
আরও সংবাদ পড়ুন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি না এলেও আওয়ামী লীগ ভোটকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ করবে