৯৪ বস্তা সরকারি বীজসহ মানিক মিয়া আটক;বোরহানউদ্দিনে দাদা বীজ ভান্ডারের নাজিম জড়িত

ভোলা সদরে ৯৪ বস্তা সরকারি বীজসহ মানিক মিয়া আটক;বোরহানউদ্দিনে দাদা বীজ ভান্ডারের নাজিম জড়িত

জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলায় খোলা বাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসির) বীজ বিক্রির দায়ে মানিক মিয়া নামের এক জনকে আটক করেছে ভোলা সদর পুলিশ।

এসময় ৬৯ বস্তা গম, ১৭ বস্তা ধান ও ৮ বস্তা আলু বীজ জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানিকের দোকান থেকে সরকারি বীজসহ তাকে আটক করা হয়।


আটককৃত মানিক ভোলা শহরের নতুন বাজার মেসার্স মানিক ট্রেডার্সের মালিক ও আবহাওয়া অফিস রোডের বাসিন্দা।

রাতে ভোলা শহরের নতুন বাজারে মেসার্স মানিক ট্রেডার্সে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সীল দেয়া বস্তা ভর্তি গম, ধান ও আলু বীজ বিক্রি করছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা দোকানের মালিক মানিক সরকারি বীজ কোথায় পেয়েছেন জানতে চাইলে সে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। পরে ভোলা সদর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মোট ৯৪ বস্তা সরকারি বীজসহ দোকানের মালিক মানিক মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে দোকানের মালিক মো. মানিক মিয়া জানান, তিনি এ বীজ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দাদা বীজ ভান্ডারের মালিক নাজিমের কাছ থেকে কিনেছেন। নাজিম ভোলা থেকে এ বীজ ছাড় করে তাকে দিয়ে গেছেন। তবে নাজিম তাকে কোনো ক্রয় রশিদ দেয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, স্থানীয়রা সরকারি সীল সম্বলিত ৯৪ বস্তা গম, ধান ও আলু বীজসহ মো. মানিক নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে তাঁরা এসে অভিযুক্ত মানিককে ৯৪ বস্তা সরকারি বীজসহ আটক করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভোলা জেলা কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে এই বীজ খোলা বাজারে বেশী দামে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাও এর সাথে জড়িত।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আমরা বার বার বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে বীজ চেয়েছি কিন্তু তিনি বলেছেন,দেওয়া হয়ে গেছে। আর বীজ নেই। তাহলে কিভাবে দাদা বীজ ভান্ডারের মালিক নাজিম এত বীজ বিক্রী করলো। বিসিএস কর্মকর্তারা এখন সরকারের বীজ চুরির সাথে জড়িত।

তারা আরও অভিযোগ করেন, কর্মকর্তা আসে আর কর্মকর্তা যায় কিন্তু চুরি বন্ধ হয় না।

উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার ভোলা জেলার সার, বীজ খোলা বাজারে বেশী দামে বিক্রি করছে কিন্তু সরকারের কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেন নি।

তবে, এই বিষয়ে জানতে ভোলা জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কৃষি কর্মকর্তাগণ মুঠোফোন রিসিভ করেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top