ডিসি-ইউএনওদের – অগাধ ক্ষমতায় দাপট

Ban_Govt4.jpg

ডিসি-ইউএনওদের – অগাধ ক্ষমতায় দাপট

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ডেপুটি কমিশনার বা ডিসির পদবি বাংলায় জেলা প্রশাসক কীভাবে হয় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

তবে ডিসিরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে রাজস্ব, বিনোদন, উন্নয়ন, জেলখানা, নির্বাচনসহ ৬২টি ক্যাটাগরিতে তিন শতাধিক বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও (ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা পর্যায়ে ডিসিদের মতো প্রায় একই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

তারা উপজেলা পরিষদেরও প্রধান নির্বাহী। ডিসি, ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতাও আছে। রয়েছে সরকারি বাড়ি, গাড়িসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। এ অগাধ ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধাই ডিসি-ইউএনওদের ঔদ্ধত্যের কারণ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। 

তারা বলছেন, এসব কারণেই সম্প্রতি ডিসি-এসপিরা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতার দৌরাত্ম্য দেখিয়েছেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনেও তারা ক্ষমতা দেখিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে তাদের সহযোগিতা করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা তা করেননি বলে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অভিযোগ করেছেন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেছেন, গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ডিসি-এসপিরা শিয়ালের মতো একযোগে যা করেছে তা তো ঔদ্ধত্য। আর গাইবান্ধার উপনির্বাচনে তাদের অসহযোগিতাও পরিষ্কার। এটা অশনি সঙ্কেত। ডিসি-এসপিরা এখন সবকিছু কুক্ষিগত করতে চায়। তাদের মানসিকতা এমন যে, সব ক্ষমতা তাদের হবে। আইন থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেই এই মানসিকতা সৃষ্টি হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন ইউএনওর ক্ষমতার দাপট ও অসদাচরণের ঘটনা তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। তাদের দাপটে সাধারণ মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধি-সবাই ভুক্তভোগী। উপজেলা চেয়ারম্যানদের আইন করে উপজেলায় ১৭ ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান করা হলেও তাদের সে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ইউএনওরা কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সংগঠন উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেসি, ভূমি ব্যবস্থাপনা, পাবলিক পরীক্ষা, রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ইউএনও-ডিসিদের একক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।

এরপরও উপজেলা পরিষদ আইনকে অমান্য করে আমলারা বিভিন্ন আদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও অমর্যাদা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আইন হয়েছে, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে যে, উপজেলার ১৭টি প্রশাসনিক বডির প্রধান হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্তু তারপরও ডিসিদের সহযোগিতায় ইউএনওরা সেই দায়িত্ব ছাড়ছেন না। তারা ওই প্রতিষ্ঠানগুলো কুক্ষিগত করে রেখেছেন।’

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিসিদের তিন শতাধিক দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি সম্পর্কিত যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন, জেল কোড অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি সম্পর্কিত যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী সান্ধ্য আইন জারির ক্ষমতা ও আটকাদেশ দেওয়া, রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা।

জিপি, স্পেশাল জিপি, ভিপি-জিপি, এজিপি, পিপি, স্পেশাল পিপি, এপিপি নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাঠানো, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন এবং ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশনস অনুযায়ী অপরাধ দমন কার্যক্রমে পুলিশ বিভাগের ওপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন, জেল কোড অনুযায়ী জেলখানার কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধান, সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন, বাতিল ও পুনর্বহাল সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ, জেলার সার্বিক অবস্থার ওপর পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন এবং বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গোপনীয় প্রতিবেদন সরকারের কাছে পাঠানো।

এ ছাড়া জেলার রাজস্ব অফিসগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান, ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ, আদায়, মওকুফ ও পুনর্নির্ধারণ, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির বন্দোবস্ত দেওয়া, রাজস্ব মামলায় আপিল শুনানি ও রাজস্বসংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত, হাটবাজারের এলাকা নির্ধারণ ও নতুন হাটবাজার স্থাপন, ভোগ্যপণ্য এবং সিমেন্ট, সিগারেট, স্বর্ণ, আয়রন, স্টিল ইত্যাদির ডিলিং লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন ও বাতিল করা, বিষাক্তদ্রব্য, বিস্ফোরকদ্রব্য, মাদকদ্রব্য এবং মদ, ইটভাঁটা, মোটর ড্রাইভিং, সিনেমা হল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ইত্যাদির লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন ও বাতিল করা, বিভিন্ন সংস্থার প্রয়োজনীয় ‘অনাপত্তি সনদ’ দেওয়া, অ্যাসিড সংরক্ষণ ও বিপণনসংক্রান্ত লাইসেন্স দেওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যেমন চিনি, লবণ ইত্যাদির লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন ও বাতিল করা এবং জনস্বার্থে ভূমি, ভবন, যানবাহন ইত্যাদি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল সম্পর্কিত কার্য পরিচালনা করা, প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন ও সংবাদপত্র প্রকাশের অনুমতি দেওয়া ও বাতিল করা, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানে অর্পিত দায়িত্ব পালন। 

এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের শপথ পরিচালনা এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্মানী দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনুমোদন, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভার সীমানা ঘোষণা ও সংশোধন, জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং জেলা কৃষিঋণ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন, পাসপোর্ট ইস্যু, বাতিল ও নবায়ন, জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং এনজিওদের কার্যক্রম তদারকি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন। 

অন্যদিকে ডিসিদের মতো প্রায় একই ধরনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইউএনওরা। তাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সব দায়িত্ব, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি রাজস্ব প্রশাসনসংক্রান্ত কার্যাবলি, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন, উপজেলা পরিষদে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা আহ্বান করা, উপজেলা পরিষদের কোনো অস্বাভাবিক বিষয় গোচরীভূত হলে তা স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা, পরিষদের নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যৌথভাবে পরিষদের নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন। 

এ ছাড়া ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন মোতাবেক আটকাদেশ দেওয়ার সুপারিশ পাঠানো, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন।

১৮৬১ সালের পুলিশ আইন ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশনস অনুযায়ী অপরাধ দমন কার্যক্রমে পুলিশ বিভাগের ওপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ করা।

উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও হাটবাজার ইজারাসংক্রান্ত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন, বিশেষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গোপনীয় প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানো। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানে অর্পিত দায়িত্ব পালন।

অত্যধিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে প্রশাসনের এ কর্মকর্তাদের। তাদের বেতন গত ১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। পদোন্নতি, বিদেশে প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ, অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারে নমনীয়তাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা।

২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতন গ্রেডভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ বাড়ানো হয়। আগে শুধু যুগ্ম সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা গাড়ির সুবিধা পেতেন। ২০১৯ সাল থেকে উপসচিবরাও গাড়ির জন্য সরকার থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা করে ঋণ পাচ্ছেন।

একই সঙ্গে পাঁচ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকার গৃহঋণ পাচ্ছেন তারা। সিআরপিসির ১৯৭ ধারায় সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি দায়িত্ব পালনকালে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো আদালত সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিতে পারেন না।

তারপরও ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ নামে একটি আইন করে তাদের গ্রেফতারের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি উচ্চ আদালত বলেছেন, এ অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে উচ্চ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে। ফলে আমলারা এক ধরনের দায়মুক্তি পান।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ মনে করেন, কর্মকর্তাদের অগাধ ক্ষমতা এবং এ আইনি কাঠামোর সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতা তাদের দৌরাত্ম্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার তাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করায় তারা রাজনৈকিভাবে ক্ষমতাবান হয়েছে।

তারা এখন ক্ষমতাসীনদের বাইরে কাউকে গুনতে চাইছেন না। এত কিছুর পরও তারা সন্তুষ্ট নন বলেই ডিসি-এসপিরা বিচারিক ক্ষমতাও চান।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘তারা তো মনে করে সরকার তারা চালায়। এমপি তারা বানিয়েছে। তাহলে তারা অন্যদের মানবে কেন।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন মনে করেন, বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা শতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তাদের সেবার মান বাড়েনি। এ মূল্যস্ফীতির বাজারেও তারা যে বেতন পান, যে সুযোগ-সুবিধা পান তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। তারপরও তাদের অনেকের আচরণে উন্নতি নেই, সেবার মান কমছে। তারা অসহিষ্ণু আচরণ করছেন। আইনের শাসনের অনুপস্থিতিও এর কারণ।

তার মতে, সমাজে যখন সব ক্ষেত্রেই বিশৃঙ্খলা, তার প্রভাব প্রশাসনেও আছে। নির্বাচন কমিশনের সভায় তারা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা শৃঙ্খলাবিরোধী।

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য চাকরির আচরণবিধি রয়েছে। কেউ সেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিভাগীয় মামলাসহ কী কী শাস্তি হবে, তা বলা আছে। আবার যদি কেউ ফৌজদারি অপরাধ করেন তাহলে ফৌজদারি আইনে তার বিচার হবে। এটা সব নাগরিকের জন্য যে নিয়ম, সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।’

তিনি বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মচারীর মানসিকতা হওয়া উচিত দেশের সংবিধান, আইন ও বিধি মেনে জনগণের সেবা করা। কিন্তু এ মানসিকতা কারও কারও মধ্যে নেই। মানসিকতা কতটুকু পজিটিভ, সেটা দেখতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিচার হতে হবে। কিন্তু বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অনেককে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী করবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘কর্মকর্তাদের এখতিয়ারের মধ্যে থেকে আচরণ করতে হবে। তাদের যে কাজের গণ্ডি সংবিধানে দেওয়া, দায়িত্বের মধ্য থেকেই সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করা বা দাপট দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, এখন উপযুক্ত সুপ্রশিক্ষিত কর্মকর্তা তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হয়রানিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেই বার্তা আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top