দৌলতখানে মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে স্ত্রী; অফিস করছেন না স্বামী

Picsart_22-09-26_18-12-39-225.jpg

দৌলতখানে মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে স্ত্রী; অফিস করছেন না স্বামী

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে স্ত্রী পারভিন বেগম।

ভোলা জেলার দৌলতখাঁন উপজেলার চরপাতা গ্রামের নাছির হাওলাদারের ছেলে দৌলতখান উপজেলা পরিষদের (সি এ) কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মাকসুদুর রহমানের সাথে লালমোহন পৌরসভার নং ৭ ওয়ার্ডের মোঃ নুরু মিয়ার মেয়ে পারিভন বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারভিন জানতে পারেন, মাকসুদ রহমান মাকাসক্তের কারনে তার ১ম স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস এর চাকুরী করে জীবন যাপন করছে। দুই সন্তানের কথা বিবেচনা করে। বার বার স্বামীকে বুঝাতে ব্যার্থ হয়ে একাধিক বার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতে হয় পারভিন বেগমকে। স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচঁতে এবং স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে ভোলা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেও স্বামীর ভয়ে নির্ধারিত তারিখে হাজির হতে পারেননি বলে জানান অসহায় পারভিন বেগম।

পারভিন বেগম আরও জানান, আমার স্বামী মোঃ মাকসুদুর রহমান তিনটি বিয়ে করেন। আমি সব সময় আতংকের মধ্যে থাকি যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

রাতের আদারে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে ঘরের মধ্যে মাদকের আড্ডায় মেতে উঠে। তাকেঁ বাঁধা দিলে নেশা করে এসে নিজের সন্তানকে দা, বটি দিয়ে জবাই করতে ধরে । আমাকেও একাধিকবার মেরে ফেলতে চেয়ে ছিল।

আমি বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানিও কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে একটি বেসরাকারী এনজিও সংস্থার মাঠ কর্মী হিসেবে চাকুরী করে ও তার জন্য সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি না। আমার এবং আমার সন্তানদের খোজঁ খবর না নিয়ে ভোলায় আবহাওয়া অফিস রোর্ডে তালাক প্রাপ্ত এক সন্তানের জননী কে বিয়ে করে সংসার করছে।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য দৌলতখান উপজেলায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি, অফিস টাইমে অফিসে নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে, আমরা যোগাযোগ করেছি কিন্তু তিনি অফিসে সঠিক ভাবে আসেন না।

আজ দুপুরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ভোলায়। পরিক্ষা কেন্দ্রে আছি।

পরিক্ষা কেন্দ্রে তিনি কি দায়িত্ব পালন করছেন, জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top