ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের মুন্সিখােলা শাখা সাবেক ম্যানেজার রফিক মাহমুদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অপরাধ প্রতিবেদকঃ আসামী রফিক মাহমুদ (৫৫), এস.এ.ভি.পি (সাবেক ম্যানেজার), ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড; মুন্সিখােলা শাখা, শ্যামপুর, ঢাকা, পিতা- আব্দুর রশীদ; মাতা- সৈয়দা হাসিনা বেগম, সাং জুবলী রােড় খালইষ্ট, থানা- মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা- মুন্সিগঞ্জ অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩০ (ত্রিশ); কোটি টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক উক্ত অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গােপন বা ছদ্মাবৃত্ত করে এবং ব্যাংকের ১৮,৬৭,০০০/- টাকা আত্মসাত করে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুনীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক জি এম আহসানুল কবীর বাদী গত ০৭/০৪/২০২২ খ্রি. তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণঃ মাে: জসিম উদ্দিন ভূইয়া, এফ.এ.ভি.পি, ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিখােলা শাখা,শ্যামপুর, ঢাকা, পিতা- মৃত নাসির উদ্দিন ভূইয়া, মাতা- মােছা: জাহেদা খাতুন, সাং দোতাইশার, থানা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাদী হয়ে ধৃত আসামী রফিক মাহমুদ (৫৫), এস.এ.ডি.পি (সাবেক ম্যানেজার), ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিখােলা শাখা, শ্যামপুর, ঢাকা, পিতা- আব্দুর রশীদ, মাতা- সৈয়দা হাসিনা বেগম, সাং জুবলী রােড খালইষ্ট, থানা- মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ সহ কদমতলী থানায় হাজির হয়ে অফিসার ইনচার্জ, কদমতলী থানা, ডিএমপি, ঢাকা বরাবর এ মর্মে অভিযােগ করেন যে, আসামী রফিক মাহমুদ ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিখােলা শাখা, শ্যামপুর, ঢাকায় গত ১০/১১/২০১৬ হতে ২৩/০৩/২০২২ খ্র. তারিখ মেয়াদে শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার উক্ত কর্মকালীন গত ২৭/০৬/২০২১ হতে ০২/০১/২০২২ খ্রি. তারিখ
সময়ে বিভিন্ন নামে ব্যাংকের নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩০,০০,০০,০০০/- (ত্রিশ) কোটির টাকার নিম্নবর্ণিত ৫৮টি এফডিআর খােলেন; যার এফডিআর নম্বর ০১১৫৫০০৫০৯৫, ০১১৫৫০০৫০৯৬, ০১১৫৫০০৫০৯৭, ০১১৫৫০০৫১০১, ০১১৫৫০০৫১০২, ০১১৫৫০০৫১০৩, ০১১৫৫০০৫১০৪, ০১১৫৫০০৫১২৪, ০১১৫৫০০৫১২৫, ০১১৫৫০০৫১২৬, ০১১৫৫০০৫১৩১,
০১১৫৫০০৫১৩২, ০১১৫৫০০৫১৩৩, ০১১৫৫০০৫১৩৪, ০১১৫৫০০৫১৩৫, ০১১৫৫০০৫১৩৮, ০১১৫৫০০৫১৩৯, ০১১৫৫০০৫১৪০, ০১১৫৫০০৫১৪১, ০১১৫৫০০৫১৫৫, ০১১৫৫০০৫১৫৬,০১১৫৫০০৫১৫৮, ০১১৫৫০০৫১৬১, ০১১৫৫০০৫১৬২, ০১১৫৫০০৫১৬৩,০১১৫৫০০৫১৮৯, ০১১৫৫০০৫১৯০, ০১১৫৫০০৫১৯১, ০১১৫৫০০৫১৯২, ০১১৫৫০০৫১৯৩, ০১১৫৫০০৫১৯৪, ০১১৫৫০০৫১৯৫,
০১১৫৫০০৫১৯৬, ০১১৫৫০০৫১৯৮, ০১১৫৫০০৫১৯৯, ০১১৫৫০০৫২০০, ০১১৫৫০০৫২০১, ০১১৫৫০০৫২০২, ০১১৫৫০০৫২০৩,০১১৫৫০০৫২০৪, ০১১৫৫০০৫২০৫, ০১১৫৫০০৫২০৬, ০১১৫৫০০৫২০৭, ০১১৫৫০০৫২০৮, ০১১৫৫০০৫২০৯,০১১৫৫০০৫২১৬, ০১১৫৫০০৫২১৭, ০১১৫৫০০৫২১৮, ০১১৫৫০০৫২১৯, ০১১৫৫০০৫২২০, ০১১৫৫০০৫২২১, ০১১৫৫০০৫২২২;
০১১৫৫০০৫২২৩, ০১১৫৫০০৫২২৪, ০১১৫৫০০৫২২৫, ০১১৫৫০০৫২২৬, ০১১৫৫০০৫২২৭ এবং ০১১৫৫০০৫২২৮।
উক্ত এফডিআর-এর অর্থের উৎস, গ্রাহকের পরিচিতি, প্রকৃত সুবিধাভােগী ইত্যাদি অনুসন্ধান না করে এবং গ্রাহকের চলতি/সঞ্চয়ী হিসাব খুলে সরাসরি তার পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের নামে এফডিআর খােলন এবং তিনি নিজেই পরিচালনা করেন। উল্লিখিত মােট ৫৮টি এফডিআর এর মধ্যে ৪৭টি এফডিআর নগদায়নের মাধ্যমে আসামী রফিক মাহমুদ নগদ ৭,১৮,৬৭,২৫৬/১৩ (সাত কোটি আঠার লক্ষ সাতষট্টি হাজার দুইশত ছাপ্পান্ন টাকা তের পয়সা) টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া নগদায়নের অবশিষ্ট ১৭,০১,৪৭,৩৬৬/৪৪
(সতের কোটি এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার তিনশত ছিষট্টি টাকা চুয়াল্লিশ পয়সা) টাকার মধ্যে গত ০৩/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ০৬টি
পে-অর্ডারের মাধ্যমে ইউসিবি ব্যাংক হিসাব নং ১০৪২১০১০০০০৪১৪১ এ ৩,০০,০০,০০০/- টাকা; গত ২০/০২/২০২২ খ্রি. তারিখে
১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৯৫২১০১০০০০২১১৯৯ এ ৫০,০০,০০০/- টাকা; একই তারিখে ১টি পে-
অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৯৫২১০১০০০০১৮৩০৮ এ ৫০,০০,০০০/- টাকা; গত ০৭/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি
পে-অর্ডারের মাধ্যমে এবি ব্যাংকের হিসাব নং ৪০১৯২০৯১১৬৩০০ এ ৫৫,৪৫,৪৪৭/৩৫ টাকা; গত ০৮/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি
পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ৪০১৯২১২৬৪৩৩০০ এ ৭৬,০৪,৯৭৬/০৬ টাকা; একই তারিখে ২টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ৪০১৯২১২৫৯০৩০০ এ ৪৪,৫৫,৭৯৪/১৯ টাকা; গত ০৯/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি পে- অর্ডারের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব নং ০০৮০১২১০০০০৪২৬০ এ ৩৫,০৩,৯৬১/৬১ টাকা; একই তারিখে ১টি পে- অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৮০১২১০০০০৪২৫৯ এ ৫০,০৮,২৮০/১৬ টাকা; একই তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং০৭৮০১২১০০০০৪২৬১ এ ৬০,১১১৫৯/১৯ টাকা; গত ১৩/০৩/২০২২ তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব নং ০০২০০০০০৬৮১০ এ ১৩৫০-১০০ টাকা; গত ১৩/০৩/২০১২ তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০০২০০১০০০০৬৮১১৮ এ ৩৩০২-৫১২/১৭ টাকা; গত ০৭/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ইউসিবি ব্যাংকের হিসাব নং ৩৯৫৩২০১০০৪০১৯৬০৮ এ ১৯.৪৬,৬২১৮৯ টাকা; গত ০৭/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এবি ব্যাংক লিঃ এর হিসাব নং ১৯২০৯১৭৩৩০০ এ ৯০,৩০,৯৫/২৬ টাকা; গত ০১/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৯৫২১০১০০০০১৪৪২২ এ ১,৩০,৪০,৪৪৭/২৫ টাকা। গত ০৭/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ১০৭২১০১০০০০১২২৫৯ এ ২,৯৬,২৯,৫৪৯/২৬ টাকা। গত ০৩/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৫২১১২০০০০০০৩৭৬ এ ১,৪৪,১২,৫৮৬/৩৫ টাকা; একই তারিখে ১টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে একই ব্যাংকের হিসাব নং ০৯৫২১০১০০০০১৪৪২২ এ ৭৬,০৪,৯৭৬/০৬ টাকা প্রেরণ করেন। আসামী কর্তৃক নগদে গ্রহণকৃত ৮,৬৭,২৫৬/১৩ (সাত কোটি আঠার লক্ষ সাতষট্টি হাজার দুইশত ছাপ্পায় টাকাতের পয়সা) টাকার মধ্যে গত ০৫/০২/২০২২ তারিখে ৪,০০,০০,০০০/- টাকা জনাব আরিফুল ইসলামকে গত ১৭/০২/২০২২ খ্রি. তারিখে হ্যাশ ট্যাগ ব্রান্ডিং এন্ড পিআর এবং কমিউনিকেশন বিডি এর নামীয় ইউসিবিএল-এর ০২টি একাউন্টে ৫০,০০,০০০/- টাকা করে মােট ১,০০,০০,০০০/- টাকা জমা দেন এবং গত ২২/০৩/২০২২ খ্রি. তারিখে জনাব আরিফুল ইসলামকে মুন্সিখােলা শাখায় ২,০০,০০,০০০/- টাকা প্রদান করেন। অবশিষ্ট আনুমানিক ১৮,৬৭,০০০/- টাকার কোন হিসাব তিনি ব্যাংকের নিকট দিতে পারেননি। উক্ত আসামী ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও ব্যাংকের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করে আনুমানিক ১৮,৬৭,০০০/- টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে তার বিরুদ্ধে আনীত আলােচ্য অভিযােগ এজাহারভুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ, কদমতলী থানা, ডিএমপি, ঢাকাকে অনুরােধ জানানাে হয়। কদমতলী থানা পুলিশ উক্ত অভিযােগ প্রাপ্তির পর অভিযােগে উল্লিখিত ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় অভিযােগটি কদমতলী থানায় এজাহার হিসেবে রেকর্ড না করে জিডি নং ২৪২, তারিখ: ০৪/০৪/২০২২ খ্রি: ভুক্ত করে আসামীকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারামতে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে মর্মে জানিয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযােগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র কদমতলী থানার স্মারক নং ২৪৫৫, তারিখ: ০৫/০৪/২০২২ খ্রি: মূলে উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ বরাবর প্রেরণ করে। উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ কর্তৃক কতমতলী থানার জিডি ও সংযুক্ত কাগজপত্র পর্যালােচনা করে আসামী রফিক মাহমুদ-এর বিরুদ্ধে একটি মামলা
রুজুর অনুমতি চেয়ে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এর স্মারক নং ০০.০১.০০০০.৭০২.৯৯.০১৪.১৯.৬১৫, তারিখ: ০৫/০৪/২০২২ খ্রি: মূলে কদমতলী থানায় দাখিলকৃত অভিযােগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হয়।
তৎপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং ০০.০১.২৬০০.৬১২.০১.১৩২.২২.১৪১৮২, তারিখ: ০৭/০৪/২০২২ খ্রি. মূলে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুনীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং, প্রতিরােধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা (এজাহার) দায়েরের অনুমতি প্রদান করা হলে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর স্মারক নং ৬২৯, তারিখ: ০৭/০৪/২০২২ খ্রি. মূলে একটি মামলা (এজাহার) দায়েরের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এমতাবস্থায়, আসামী রফিক মাহমুদ (৫৫), এস.এ.ভি.পি (সাবেক ম্যানেজার), ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিখােলা শাখা, শ্যামপুর, ঢাকা, পিতা- আব্দুর রশীদ, মাতা- সৈয়দা হাসিনা বেগম, সাং জুবলী রােড খালইষ্ট, থানা- মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ-এর বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক উক্ত অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গােপন বা ছদ্মবৃত্ত করে এবংনব্যাংকের ১৮,৬৭,০০০/- টাকা আত্মসাত করে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুনীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা তদন্তকালে ঘটনার সাথে অন্য কারাের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তা আইনামলে আনা হবে।