‘আর কোনো বিচারক সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিতে সাহস পাবেন না’- ফখরুল ইসলাম আলমগীর

bnp.jpg

‘আর কোনো বিচারক সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিতে সাহস পাবেন না’- ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিশেষ প্রতিবেদকঃ দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সরকার পুরোপুরি দলীয়করণ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসনকে ধ্বংস করা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার বিচার ব্যবস্থার। এখন ন্যায়বিচার পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। যেখানে প্রধান বিচারপতিকে (সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা) ১১ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা কখনই কাম্য হতে পারে না বলছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।

‘আজ আর কোনো বিচারক সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জনগণের ন্যায়ের পক্ষে কোনো রায় দিতে সাহস পাবেন না। যেটা সরকার চাইবে না, সেই রায় দেওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে এসব কথা বলেন। বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে এ সভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সংকটটা অত্যন্ত গভীর। এ সংকট আমাদের অস্তিত্বের। যেটা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পূর্বে ছিল। আজ আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের যা কিছু অর্জন ছিল সব হারিয়ে ফেলেছি। বর্তমান ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে অর্জনগুলো ধবংস করে দিচ্ছে। এর হাত থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ ভয়াবহ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। সত্যিকার অর্থেই আইনের শাসন, একটা মুক্ত অর্থনীতি, মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ও জনগণ যে ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থা চায় সে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোথাও নিরাপত্তা নেই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে দমন করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দেওয়া হয়েছে চার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে। ভয় দেখিয়ে, ত্রাস করে সমাজে একটা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top