ছবি সংযুক্ত: ঢালচর আলিম মাদ্রাসার দপ্তরীর বাসায় পরিত্যক্ত বই। শনিবার সকালে তোলা ছবি।
আদিত্য জাহিদ চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ বিনামুল্যে বিতরনের জন্য সরবরাহকৃত ২১ সালের পাঠ্যপুস্তক দপ্তরীর বাসায় অরক্ষিত অবস্থায় কেজি দরে বিক্রীর অপেক্ষায় রয়েছে। ঢালচর দাখিল মাদ্রাসার (দপ্তরী) অফিস সহায়ক আলাউদ্দিন ভুইয়ার চরমানিকার বাড়িতে এ বইয়ের সন্ধান মিলেছে। মাদ্রাসা সুপার আমির হোসেন ২০/২২ মন বই সংরক্ষণ করার কথা স্বীকার করেন।
একটি সুত্র জানায় দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন ভুইয়ার বাড়িতে বিক্রীর জন্য বই রাখা আছে। তার বাড়ীতে গিয়ে বই সর্ম্পকে কথা বলতে চাইলে আলাউদ্দিনের স্ত্রীর জেরার মুখে পড়তে হয়। পড়ে তিনি জানান,ঢালচর আলিম মাদ্রাসার বই আমাদের বাসায় রাখা হয়েছে। মাদ্রাসা সুপার আমির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, নদী ভাঙ্গন জনিত কারনে এ বছর ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া ও স্থানান্তরিত হওয়ার কারনে আমাদের কাছে বই রয়েছে। ঢালচর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, বই ষ্টক রাখার বিষয়ে তিনি জানেন না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, ঢালচর আলিম মাদ্রাসার অবিতরনকৃত বই দপ্তরী আলাউদ্দিনের বাসায় এমন সংবাদ এক সংবাদকর্মীও থেকে পেয়ে সুপার আমির হোসেনকে ফোন করলে তিনি জানান, মাদ্রাসার বই দপ্তরীর বাসায় মজুদ রাখার রেজুলেশন নিয়ে আগামী সপ্তাহে দেখা করবেন। রেজুলেশন বিহীন অসৎ উদ্যেশে বই মজুদের বিষয় প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জ দোকানে বিনা মুল্যে বিতরনের জন্য সরবরাহকৃত বই কেজি দরে বিক্রীর হিড়ীক পড়ার কারনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে চাহিদার চেয়ে বেশী পরিমান বইয়ের চাহিদা পত্র দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। ২০২০ ও ২১ সালে করোনার অজুহাতে বই বিতরন না করে রেখে দেয় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বছর শেষে বই গুলো কেজিতে বিক্রী করে ভাগ ভাটোয়ারার অংশ পান সকলে। শশীভুষণ থানার আঞ্জুর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বই বিক্রীর তথ্য সংগ্রহে গেলে জানা যায়, ঐ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো মনির নামক এক ব্যবসায়ীর নিকট বই বিক্রী করে। মনির থেকে খুচরা দোকানীরা কেজিতে কিনে নেয়। শুক্রবার রাতে বাবুর হাট পরিষদ বাজারের এক ফার্মেসীতে ২০ সালের প্রায় ৩০ মন বইয়ের সন্ধান মিলেছে।