কোথায় করোনা আতঙ্ক! কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এত মানুষের ভিড়!

PicsArt_07-04-09.56.20.jpg

কোথায় করোনা আতঙ্ক! কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এত মানুষের ভিড়!

বিশেষ সংবাদদাতাঃ হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ। লোকে-লোকারণ্য শহীদ মিনারের চৌহদ্দি। কেউ দাঁড়িয়ে দলবেঁধে গল্প করছেন, কেউ বেদীতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন আবার কেউবা কাছাকাছি-পাশাপাশি বসে গল্প করছেন। কয়েকজন উঠতি বয়সীকে সিগারেটের ধোঁয়া কুণ্ডলী বানিয়ে উপরের দিকে ছুড়ে মারছেন। একটি ছোট্ট শিশুকে সুতোই বাঁধা বেলুন হাতে দৌড়ঝাঁপ করছে। উপস্থিত নারী-পুরুষ ও শিশুর অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। স্বল্পসংখ্যক যাদের মুখে মাস্ক আছে তারাও মাস্ক মুখের নিচে নামিয়ে রেখে কথাবার্তা বলছেন। ফাঁকে ফাঁকে খাচ্ছেন চিনাবাদাম।

শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে এমন দৃশ্য দেখা যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারদিকে। গত তিন মাসের মধ্যে এ এলাকায় এত মানুষের সমাগম আর হয়নি।

কিছুদিন আগেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত নগরবাসীরা ভুলেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আসতেন না। মাস-দুয়েক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চৌহদ্দিতে কতজন মানুষ উপস্থিত হতো তা গুনে গুনে বলা যেত। কিন্তু আজ চিত্র ভিন্ন। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে ছুটির দিনগুলোতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী নারী-পুরুষ শিশু যেমন এখানে ভিড় জমাতেন ঠিক তেমনি দৃশ্য আজ দেখা গেল।

উপস্থিত মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার (অধিকাংশের মুখে মাস্ক না থাকা, নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা ও সেনিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করা) এ দৃশ্য দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে।

ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে কেউ বলতে পারবে না গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত এবং ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর মতিঝিল থেকে শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও ছোট ছোট দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে কেন ছোট শিশুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত তিন মাস যাবত ঘরবন্দি থেকে শিশুরা বাইরে আসার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে সাহস করে আজ ঘুরতে বেরিয়েছেন। অনেকদিন পর ঘুরতে এসে শিশুরাও খুব আনন্দে মেতেছে। তবে এত মানুষ দেখে তিনি ভয় পাচ্ছেন বলে জানান।

রাজধানীর লালবাগের বাসিন্দা গৃহবধূ সুলতানা বেগম একাই শহীদ মিনারের পাদদেশে পায়চারি করছিলেন। তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেলে তিনি এখানে হাঁটতে আসেন। গত তিন মাসের মধ্যে এত মানুষের উপস্থিতি তিনি দেখেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top