পিরোজপুরে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের কারাদণ্ড
জেলা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় হতদরিদ্র পরিবারের ১০ টাকা কেজি দরে সরকারের খাদ্যবান্ধব ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা বাজারে কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও গ্রাম পুলিশ গোলাম মোস্তফাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান এ আদেশ দেন বলে জানান নাজিরপুর থানার এস আই মো. সাইদুর রহমান।
এ সময় ইউনিয়নের বৈঠাকাটা বাজারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার মহসিনের গোডাউনে তল্লাশি করে ওই কর্মসূচির ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম (৫৫) নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এবং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কলারদোয়ানিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের পুত্র। গোলাম মোস্তফা (৫০) কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ এবং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের মৃত হেমায়েত উদ্দিনের পুত্র।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে ওই কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি ওই গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন এবং সেখান থেকে ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেন।
ওই চাল মার্চ মাসে বিতরণ করার কথা কিন্তু গ্রাহক না আসায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি বলে বিতরণের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ গোলাম মোস্তাফা দাবি করে। তবে এ সময় তিনি মার্চ মাসের চাল বিতরণের রেজিস্ট্রারসহ ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের তালিকা দেখাতে পারেনি। এক পর্যায়ে মাস্টাররোল উপস্থাপন করলেও তার সাথে চালের হিসেবে গড়মিল পাওয়া যায়।