গ্রামের বাড়িতে আবরার, পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
জেলা প্রতিনিধিঃ বুয়েট ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের (২১) মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে নেয়া হয়েছে। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আবরারের মরদেহ তার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ কুমারখালীর রায়ডাঙ্গা গ্রামে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ডেকে নিয়ে হলের অন্য একটি কক্ষে আটকে দীর্ঘসময় ধরে তার ওপর নির্যাতন চালান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ভিডিও ফুটেজ দেখে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া খোদ বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
জানা গেছে, রবিবার রাত ৮ টার দিকে আবরার ফাহাদসহ দ্বিতীয় বর্ষের ৭-৮ জন শিক্ষার্থীকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতা। সেখানে তাদেরকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে অন্যদের বের করে দেওয়া হলেও আবরারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এসময় তাকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বেধড়ক পেটানো হয়। এক পর্যায়ে আবরার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে তারা লাশ ধরাধরি করে হলের নিচতলায় সিঁড়ির নিচে রেখে দেন।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।