ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।

PicsArt_08-30-02.10.36.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ গত ছয় বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ পাশ করেছে সিন্ডিকেট।

এরা ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। 

সভায় উপস্থিত একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম ‘সিন্ডিকেট সভায়’ এই সুপারিশ পাস হয়েছে।

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৬৯ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এই বিষয়ে শৃঙ্খলা পরিষদের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এসব শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের গ্রামের বাড়ি, হল কার্যালয় ও নিজ নিজ বিভাগে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগামী রবিবার থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত করে চক্রের ১২৫ জনকে শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি, যাদের মধ্যে ৮৭ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সিআইডির চার্জশিট ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ ৬৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।

একই অভিযোগে ৩০ জানুয়ারি ১৫ শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সবমিলিয়ে এই পর্যন্ত ৮৪ জনকে বহিস্কার করলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে তালিকায় আরও তিনজন শিক্ষার্থী থাকলেও নাম-ঠিকানার সঙ্গে অমিল পাওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top