সাভার উপজেলা হাসপাতালে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ; রোগীদের সাথে খারাপ আচরন।

20190725_101308.jpg

সাভার উপজেলা হাসপাতালে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ; রোগীদের সাথে খারাপ আচরন।

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলার অন্যতম একটি উপজেলার নাম সাভার। প্রায় ৫০ লক্ষ জনগণের বসবাস এই উপজেলায়। এই উপজেলা বাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য একমাত্র ভরসা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু একমাত্র ভরসাস্থলেও ডাক্তার, নার্স এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সাধারন রোগীদের সাথে খারাপ আচরন, যা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্মকর্তাগন এর কোন খোঁজ খবরই রাখেন না এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।



সকাল সকাল হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তাগন অফিসে আসলেও তারা সঠিক সময় রোগীদের সঠিক সেবা দিচ্ছেন না, এমনই অভিযোগ করেন আব্দুল কাইয়ুম নামের সাভার উপজেলা এক বাসিন্দা।

তিনি আরো বলেন, এই উপজেলায় বেসরকারি একটি হাসপাতাল আছে আপনি গিয়ে দেখেন সেখানে কি সুন্দর ভাবে মানুষ সেবা পাচ্ছে, আর আমরা গরীব। আমরা সরকারি হাসপাতাল এ আসছি কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীদের আচার আচরণ দেখলে মনে হয় তাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছি।

সাভার পৌরসভার বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, সরকারি হাসপাতাল বোঝেন তো! আমাদের সাথে যা ইচ্ছা তাই করে। ওষুধ নিতে আসলে খারাপ ব্যবহার করে। মনে হয় আমরা দেশের ফকির ভিক্ষা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসি।

সাভার হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচার আচরণ দেখলে মনে হয় তারা এখানে জমিদারি করতে আসছে। নিত্যদিন এখানে রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে যাচ্ছেন। জনগণের টাকায় এদের বেতন হলেও এরা নিজেদের রাজপুত্র মনে করেন।

এই বিষয়ে সাভার উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আমজাদুল হকের কাছে জানতে চাইলেন তিনি বলেন, আমি ২ সপ্তাহ হলো সেখান থেকে চলে এসেছি। রিপ্রোডাকটিভ এন্ড চাইল্ড হেলথের উপর উচ্চতর পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছি। তাছাড়া ওখানে যেহেতু আমি নেই। সেখান কার বিষয়ে বলাও উচিৎ হবে না।



ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করা হলে জেলা সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। যে কর্মকর্তা বা কর্মচারী রোগীদের সাথে খারাপ আচার আচরন করবে তাদের চাকুরী করার কোন প্রয়োজন নেই। রোগীদের আভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠিন ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top