সততার সঙ্গে কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

PicsArt_07-17-05.00.43.jpg

সততার সঙ্গে কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারের যেসব কর্মসূচি রয়েছে, তা সততার সঙ্গে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডিসিরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। সরকারের বেশিরভাগ উন্নয়নমূলক কাজ তাদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। দারিদ্র্য বিমোচনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে তারা কাজ করেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারের কাজগুলো সততার সঙ্গে করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের তৃতীয় কার্য অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে শক্তিশালী করার কথা বলেছি জেলা প্রশাসকদের। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কাজের মান যেন বজায় থাকে, সেজন্য তাদের বলা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে গ্রামকে শহর বানানোর একটি উদ্যোগের কথা বলেছিল আওয়ামী লীগ। সেই বিষয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং সরকার যে নির্দেশনা দেয়, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে ডিসিদের বলেছি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতনের জন্য আন্দোলন করছেন—এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পৌরসভা গঠিত হয়, আয় করে ব্যয় করবে এমন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে। সেখানে যদি কোনও পৌরসভা অর্থ আয় করতে না পারে, তাহলে সে পৌরসভা থাকবে কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাদের একটি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। আমি তাদের বলেছি, আপদকালীন কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকা যাবে, কিন্তু বিধিবিধান অনুযায়ী তাদের দাবি ও প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে সমবায় মন্ত্রী বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। মশা পরিষ্কার পানিতেও হয়, নোংরা পানিতেও হয়। সেক্ষেত্রে আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই দেশব্যাপী মশানিধন কর্মসূচি পালনের কথা বলেছি ডিসিদের। এ সময় মশার ওষুধ ছিটানো ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে।



ওষুধে মশা মরে না−সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাজুল ইসলাম বলেন, মশা মারার ওষুধ ছিটাতে গিয়ে যদি সেই ওষুধে মানুষ ও গাছগাছালির ক্ষতি হয়, তবে তেমন ওষুধ ছিটানো যাবে না। যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top